সীমিত পরিসরে লকডাউনে গণপরিবহন ও দোকানপাট বন্ধ ছিল বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। সোমবার প্রথমদিন এবারের লকডাউন কার্যকরে তুলনামূলক কঠোর অবস্থানে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ফলে নগরজুড়ে ছিল শুধু রিকশা আর রিকশা। মোটরসাইকেলও ছিল চোখে পড়ার মতো।

তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অনেক চাকরিজীবীকে বিপাকে পড়তে হয়েছে। গন্তব্যে পৌঁছাতে দুই থেকে তিনগুণ বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাদের। সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন মোটরসাইকেল ও রিকশা চালকরা।

যাত্রী পরিবহনে রিকশার পাশাপাশি নগরীর মোড়ে মোড়ে দেখা গেছে অসংখ্য মোটরসাইকেলও। এছাড়া নগরীর বিভিন্ন এলাকার অলিগলিতে কিছু দোকানপাট খোলা রাখতে দেখা গেছে। দোকানের শাটার অর্ধেকে নামিয়ে রেখে বেচাকেনা করতেও দেখা গেছে।

এদিকে লকডাউন যাতে কার্যকর হয়, সেজন্য সোমবার সকাল থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি মাঠে ছিলেন ভ্রাম্যমাণ আদালতও। সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে নগরীতে কাজ করছেন ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামনুন আহমেদ বলেন, সীমিত পরিসরে লকডাউন ঘোষণা করা হলেও তা কার্যকর করতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। প্রথমদিনে দুই শিফটে ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেছেন। এভাবেই প্রতিদিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে লকডাউন কার্যকর করা হবে।