রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে স্বামীর বাড়ি থেকে খাদিজা আক্তার (৪০) নামে এক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

নিহতের স্বজনের অভিযোগ, তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে স্বামীর দাবি, খাদিজা আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ এ ঘটনায় নিহতের স্বামী রাজশাহী পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক আব্দুল ওয়াহাবকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। মঙ্গলবার রাতের যে কোনো সময় খাদিজার মৃত্যু হয়। বুধবার দুপুরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।

নিহত খাদিজা আক্তার রাজশাহীর পবা উপজেলা কৃষি অফিসে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার ভাই আবুল কালাম জানান, লাশের শরীরে আত্মহত্যার কোনো আলামত নেই; বরং মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাকে হত্যা করা হয়েছে।

প্রতিবেশী আব্দুল্লাহ ও সরল জানান, আব্দুল ওহাব ও খাদিজা আক্তারের বিয়ে হয়েছে প্রায় দেড় যুগ আগে। খাদিজার বাবার বাড়ি বগুড়ায়। তারা দু'জনই চাকরির সুবাদে রাজশাহী শহরে ভাড়াবাড়িতে বসবাস করতেন। করোনার কারণে তিন সন্তান নিয়ে তারা বেশ কিছুদিন ধরে পুঠিয়ায় গ্রামের বাড়িতেই রয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, আব্দুল ওহাব শিক্ষক হলেও স্ত্রীর ওপর প্রায়ই নির্যাতন করতেন। খাদিজাও স্বামীকে সন্দেহ করতেন। গোপনে বিয়ে করার অভিযোগ আনতেন। তবে সন্তানদের দিকে তাকিয়ে খাদিজা সংসার করে গেছেন। মঙ্গলবার বিকেলেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে।

আব্দুল ওয়াহাব পুলিশের হাতে আটকের আগে জানান, রাতের খাবার খেয়ে তারা ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর খাদিজা ফাঁস নিয়েছে তা বুঝতে পারেননি। রাত সাড়ে ১২টার দিকে ছোট ছেলে ঘুম থেকে উঠে কান্নাকাটি শুরু করে। এরপর স্ত্রীকে ঘরে না পেয়ে বাইরে এসে দেখেন গেটের কাছে ফাঁস নিয়েছে। দ্রুত নামিয়ে দেখেন মারা গেছে।

পুঠিয়া থানার ওসি সোহরাওয়াদী হোসেন জানান, এটা হত্যা না আত্মহত্যা জানার জন্য লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।