মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বুধবার দিনভর হালকা বৃষ্টিপাত হয়েছে চট্টগ্রামে। আর এ হালকা বৃষ্টিতেই হাঁটুপানি জমেছে নগরীর বিভিন্ন সড়কে। নালা ও খালের বিভিন্ন স্থানে এখনো বাঁধ থাকায় পানি নিস্কাশন কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। এদিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নালায় পড়ে গেলে চালকসহ নিহত হন ২ জন। নিহতরা হলেন চালক সুলতান (৩৫) ও যাত্রী খাদিজা বেগম (৬৫)। পাঁচলাইশ থানার ষোলশহর ২ নম্বর গেইটের মেয়র গলি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় অটোরিকশাটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নালায় পড়ে যায়। নালায় প্রচণ্ড স্ট্রোত থাকায় তলিয়ে যায় সেটি। অটোরিকশায় চালকসহ ৫ জন ছিলেন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ২ জনকে স্থানীয়রা চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাদের মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

পাঁচলাইশ থানার এসআই নুরুল আলম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

এদিকে হালকা বৃষ্টিতে হাঁটুপানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চলে। নালা ও খালে বাঁধ থাকায় অনেক স্থানে পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে আছে। ৩০ জুনের মধ্যে সব বাঁধ অপসারণ করার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা রক্ষা করতে পারেনি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এজন্য ফের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে নগরবাসীকে। রিকসা উল্টে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনাও ঘটেছে।

নগরের কাপাসগোলা, বহদ্দারহাট, দুই নম্বর গেইট, মুহাম্মদপুর, ষোলশহর, চাক্তাই, বাকলিয়া, ডিসি রোড, রহমতগঞ্জ, মুরাদপুর, হালিশহর, চান্দগাঁওয়ের বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। ডিসি রোডে হাঁটুসমান পানি ওঠে।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। এর প্রভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টি হতে পারে। এই সময়ে দিন ও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামী তিনদিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহায়াবিদরা।