বরিশালের হিজলায় ধর্ষণের শিকার এক নারীকে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিয়ের দাবিতে ৩ দিন আগে ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তির বাড়িতে যাওয়ার পর ওই নারীর ভাই তাকে ফিরিয়ে এনে শেকল দিয়ে বেঁধে রেখেছিলেন। 

খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে হিজলা থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। পরে ওই নারী বাদী হয়ে অভিযুক্তি সোহেল তালুকদারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। 

অভিযুক্ত সোহেল হিজলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান তালুকদারের ভাতিজা। সে হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি বলে জানিয়েছে হিজলা থানা পুলিশ। ধর্ষণের শিকার নারীর পাঁচ সন্তান রয়েছে।

হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অসীম কুমার সিকদার জানান, ওই নারীকে মঙ্গলবার গভীর রাতে তার ভাইয়ের বাসায় খাটের সঙ্গে শেকল বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে সে সোহেল তালুকদারকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। সোহেল পলাতক রয়েছে। ওই নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

মামলায় ওই নারী অভিযোগ করেন, ভিজিডি কার্ডের তালিকায় নাম ওঠানোর সূত্রে ৬ মাস আগে সোহেল তালুকদারের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। এরপর বিয়ের কথা বলে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে সোহেল। কিছুদিন আগে সে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সোহেল বিয়ে করতে অস্বীকার করে। বিয়ের দাবিতে রোববার তার বাড়িতে গেলে সে পালিয়ে যায়। এ সময় সোহেলের পরিবারের সদস্যরা তাকে মারধর করে। পরে তার ছোট ভাই ওই বাড়িতে গিয়ে বোনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। 

ওই নারীর ভাই সাংবাদিকদের জানান, সোহেলের চাচা ইউপি চেয়ারম্যান। তারা প্রভাবশালী পরিবার। বোনের প্রেমের সম্পর্ক তারা কোনোদিন মেনে নেবে না। বোন ওই বাড়িতে আবার যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে শেকল দিয়ে খাটের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। 

ধর্ষণের শিকার নারীর স্বামী জানান, তার স্ত্রী গত শুক্রবার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান। এর পরের কোনো খবর তার জানা নেই।