ভূমিকম্প: চৌদ্দগ্রামে শতাধিক পোশাক শ্রমিক আহত
ছবি: সমকাল
চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৩:৩৯
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কে ভবন থেকে নামতে গিয়ে হুড়োহুড়িতে শতাধিক পোশাক শ্রমিক পদপিষ্ট হয়ে আহত হয়েছেন। তিন শ্রমিককে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। শনিবার সকালে উপজেলার ছুপুয়া এলাকায় আমির শার্ট লিমিটেডের কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত রোগী, প্রত্যক্ষদর্শী ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৩৬ মিনিটে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামসহ আশপাশের এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এসময় উপজেলার ছুপুয়া এলাকায় অবস্থিত আমির শার্ট লিমিটেড নামের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা আতঙ্কিত হয়ে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করেন। তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে ও উপর থেকে লাফ দিয়ে কমপক্ষে শতাধিক শ্রমিক আহত হয়েছেন। এসময় পোশাক কারখানাটির মূল ফটক তালাবদ্ধ থাকার কারণে কেউ বেরিয়ে আসতে পারেনি বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
খবর পেয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। তার মধ্যে তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া অনেকে বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. গোলাম কিবরিয়া টিপু বলেন, ‘ভূমিকম্পে আতঙ্কে ছোটাছুটি করতে গিয়ে আহত হওয়া ৮০ জন শ্রমিককে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাহেদা, আয়শা এবং অজ্ঞাতনামা এক নারীকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
আমির শার্ট লিমিটেডের সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট (এভিপি) কাজী মো. ইউসুফ এবং এসভিপি শাহজাহান সাজু জানান, তাদের কারখানার তিনটি ভবন রয়েছে। তার মধ্যে একটিতে প্রশাসনিক ও অপর দুটিতে পোশাক তৈরির কাজ চলে। দুই ভবনের চারটি ফ্লোরে এক হাজার ৭০০ শ্রমিক কাজ করেন। ভবনে ওঠানামার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে, কিন্তু ভূমিকম্পের আতঙ্কে ছোটাছুটি করতে গিয়ে আহত হয়েছেন শ্রমিকেরা। তবে গেইট বন্ধ থাকার বিষয়টি তারা অস্বীকার করেন।
ফায়ার সার্ভিসের চৌদ্দগ্রাম স্টেশন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, ‘আমির শার্ট লিমিটেডের দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি। কতজন আহত হয়েছে তার সঠিক হিসাব এখনো করা হয়নি। তবে কেউ নিহত হয়নি।’