কঠোর লকডাউন শিথিলের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার বন্দর নগরী চট্টগ্রামে রাস্তায় চলাচল করেছে গণপরিবহন। তবে যথারীতি সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মানছে না কেউ। অনেক যাত্রীর পাশাপাশি স্বাস্থবিধি মানছেন না চালক-হেলপাররাও। 

বাসে আসনের বাইরেও গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। মাস্ক পরার প্রবণতা কিছুটা বাড়লেও অনেককে মাস্ক ছাড়াই যানবাহনে চলাচল করতে দেখা যায়।

এদিকে গণপরিবহন চলাচল শুরু হওয়ায় অফিসগামী যাত্রীরা স্বস্তি পেয়েছেন। বিপুল সংখ্যক যানবাহন চলাচলের কারণে নগরীর বিভিন্ন সড়কের ব্যস্ততম পয়েন্টগুলোতে দিনভর যানজট লেগেই ছিল।

বিকেল ৩টার দিকে নগরীর বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, ষোলশহর দুই নম্বর গেট, জিইসি মোড় আগ্রাবাদসহ বিভিন্ন ব্যস্ততম পয়েন্টে দেখা যায়, মোড়ে মোড়ে পরিবহনের জন্য যাত্রীদের জটলা। আসনের অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের কথা থাকলেও কথা রাখছে না পরিবহন মালিক-শ্রমিকেরা। সব আসনের পাশাপাশি দাঁড়িয়েও যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। 

চকবাজর থেকে আগ্রাবাদ পর্যন্ত চলাচলকারী টেম্পোগুলোতে অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করতে দেখা যায়। তবে যথারীতি অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। ৬০ শতাংশ বাড়তি ভাড়া নেওয়ার কথা থাকলেও দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করছেন পরিবহন শ্রমিকেরা।

ওয়াসা মোড়ে বেসরকারি অফিসের কর্মচারী জয়নাল আবেদিন সমকালকে বলেন, 'অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ বাড়তি ভাড়া নেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত থাকলেও গণপরিবহনের শ্রমিকেরা প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করছেন। ওয়াসা থেকে আগ্রাবাদে যেতে বাসের ভাড়া ৭ টাকা হলেও আদায় করা হচ্ছে ১২ টাকা। উঠানামায় ৫ টাকা করে ভাড়া নেওয়ার কথা থাকলেও লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে ১০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। এসব যেন দেখার কেউ নেই।'