- সারাদেশ
- করোনায় প্রবাসী ছেলের মৃত্যুর শোক সইতে পারলেন না মা
করোনায় প্রবাসী ছেলের মৃত্যুর শোক সইতে পারলেন না মা

ওমান প্রবাসী ছেলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এ খবর শুনে শোক সইতে না পেরে মারা গেছেন তার মা টুনি বালা দেবী (৯৫)। বুধবার রাতে উপজেলার কাটাছড়া ইউনিয়নের তৈতয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। টুনি বালা দেবী ওই গ্রামের মৃত মনমোহন নাথের স্ত্রী। এদিকে দেশ থেকে সৎকারের জন্য টাকা পাঠাতে না পারায় প্রবাসী সমীর নাথের লাশেরও সৎকার হচ্ছে না বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ওমানে দর্জির কাজ করছে সমীর নাথ ও তার ভাই যুবরাজ নাথ। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৮ জুলাই সমীর নাথ ওমানের মেজোয়া শহরের বাসায় মারা যান। এরপর তার লাশ সেখানকার একটি হাসপাতালে নিয়ে রাখা হয়। তার ভাই যুবরাজ নাথও করোনায় আক্রান্ত হয়ে সেখানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন।
করোনায় মৃত সমীর নাথের ছেলে অনুতপ্ত নাথ জানান, তার বাবার মৃত্যুর খবর তার ঠাকুরমাকে গত কয়েক দিন শোনানো হয়নি। কিন্তু বুধবার সন্ধ্যায় ওমান থেকে তার কাকা যুবরাজ ফোনে জানান, লাশ হাসপাতালে রাখার খরচ, শ্মশানে লাশ নিয়ে যাওয়া এবং সৎকার কাজের জন্য দেশ থেকে ৮০ হাজার টাকা না পাঠালে তার বাবার লাশ সৎকার করবে না সেখানকার কর্তৃপক্ষ। এ খবর শোনার কয়েক মিনিটের মধ্যে মারা যান তার ঠাকুরমা।
অনুতপ্ত নাথ বলেন, বাবার লাশ সৎকারের জন্য দেশ থেকে টাকা পাঠানোর মতো অবস্থা পারিবারের নেই। এর মধ্যে ঠাকুরমাও মারা গেলেন। তিনি তার বাবার লাশ সৎকারের ব্যবস্থা করতে বাংলাদেশ সরকার ও ওমানে বাংলাদেশি দূতাবাসের সহযোগিতা কামনা করেন।
ওমান প্রবাসী রণজিত দাশ ও নিমাই শর্মার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের লাশ সৎকারের মতো কোনো শ্মশান সেখানে নেই। কারও লাশ সৎকার করতে হলে ভারতীয়দের শ্মশানে করতে হয়। সে ক্ষেত্রে সেখানে বেশকিছু টাকা খরচ দিতে হয়। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা প্রবাস থেকে অনেক কষ্ট করে দেশে টাকা পাঠাই, কিন্তু বিদেশের মাটিতে মারা গেলে লাশ সৎকারের সহযোগিতাও সরকার থেকে পাওয়া কষ্টসাধ্য।
মন্তব্য করুন