উদ্দেশ্যে ছিলো অটোরিকশাটি ছিনতাই করার। কিন্তু চার তরুণের একজনকে চিনে ফেলে ময়মনসিংহে অটোরিকশা চালক রুবেল মিয়া। এ কারণে তাকে হত্যা করা হয়। 

এ ঘটনায় তিন অভিযুক্তকে বৃহস্পতিবার গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক বিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে পুলিশের কাছে। শুক্রবার তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।

ময়মনসিংহ নগরীর শম্ভুগঞ্জের রাঘবপুর গাঙ্গপাড়া গ্রামের মৃত মন্নাছ আলীর ছেলে রুবেল মিয়া (৩০)। সোমবার বিকেলে অটোরিকশা নিয়ে বের হন তিনি। মঙ্গলবার দুপুরে শম্ভুগঞ্জ এলাকায় একটি ডোবা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি কেকের প্যাকেট। মায়ের জন্য কেকটি কিনেছিলেন রুবেল। কিন্তু ছিনতাইকারীদের কারণে তার আর ঘরে ফেরা হয়নি। পরে তার অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয় তারাকান্দার মধুপুর বটতলা এলাকা থেকে। 

এ ঘটনায় রুবেলের ভাই আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মঙ্গলবার রাতেই কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। এরপর চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি তদন্তে নামে গোয়েন্দা পুলিশ। রুবেলের মুঠোফোনের কল লিস্টের সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আটক করা হয় তিন তরুণকে। তারা হলেন- শম্ভুগঞ্জের আলালপুর গ্রামের মো. আরিফুর রহমান হাসান মীর (১৮), চরকালিবাড়ী এলাকার মো. সজিব মাহমুদ রোজ (১৮) ও রঘুরামপুর টানপাড়া এলাকার মো. ইমন হোসেন (১৯)।

অভিযুক্তদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় চার তরুণ। তাদের একজনের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হয় রুবেলের। সেই সূত্রধরে গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তদের। দলটি অটোরিকশাটি ছিনতাই করার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু চারজনের মধ্যে আরিফুর রহমানকে চিনে ফেলায় পরিকল্পনা বদলে যায়। ধরা পড়ার ভয়ে কোমরের বেল্ট দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় রুবেলকে। এরপর ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে ডোবায় লাশ ফেলে দেওয়া হয়। পরে অটোরিকশা নিয়ে পালানোর সময় ভয়ে এক পর্যায়ে সেটি ফেলে চলে যায় দলটি। 

ময়মনসিংহ গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মোহাম্মদ শাহ কামাল আকন্দ বলেন, একজনকে চিনে ফেলার কারণেই হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হয় রুবেলকে। চক্রটি পেশাদার অপরাধী, রয়েছে মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতাও। তবে এর আগে কখনও ধরা পড়েনি তারা।