বরিশালে টার্মিনালের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংঘর্ষের জেরে রূপাতলী বাস টার্মিনাল ও নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে পুরো বরিশালে যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় মালিক-শ্রমিকরা। এতে আটকা পড়েছেন হাজার হাজার ঘরমুখো মানুষ।  

জানা যায়, রূপাতলী শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃত্ব দাবীদার দুই পক্ষই আওযামীলীগ নেতা।  রূপাতলী বাস টার্মিনালে শ্রমিকদের একপক্ষ অপরপক্ষকে গ্রেফতারের দাবিতে প্রশাসনকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়েছিল। কিন্তু কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় সকাল ১০টা থেকে দুটি টার্মিনাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় শ্রমিক-মালিকরা।  

বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক কাওছার হোসেন শিপন জানান, বৃহস্পতিবার রূপাতলী টার্মিনালে হামলাকারী সন্ত্রাসী ১০ জনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ একজনকেও গ্রেফতার করেনি। তাই পুর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ১০টায় রূপাতলী ও নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে সকল বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন মালিক-শ্রমিকরা। 

নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ হোসেন জানান, রূপাতলী টার্মিনালের মালিক-শ্রমিকদের দাবীর প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করে নথুল্লাবাদ টার্মিনালের মালিক-শ্রমিকরা সকাল ১০টা থেকে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন।  ফরিদ বলেন, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত বাস চলবেনা। 

উল্লেখ্য, লকডাউনে বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার বাস চলাচল শুরুর প্রথম দিনই নগরীর রূপাতলী বাস টার্মিনালের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা চালায় সেখানকার বিবাদমান শ্রমিকদের দুইপক্ষ। ফলে দুইপক্ষের সংঘর্ষ হলে প্রায় ৫ঘন্টা বাসচলাচল বন্ধ ছিল।