কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে চিকিৎসাধীন চার রোগী করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।

কিশোরগঞ্জ জেলায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের সর্বশেষ তথ্য নিয়ে শনিবার সকালে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে। 

প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে,গত একদিনে  জেলায় মোট ৮৬ জনের নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এখন জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৪৮৩ জন।

গত এক দিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২২ জন।

কিশোরগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান সমকালকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, কিশোরগঞ্জে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৩৭৫ জনে, মারা গেছেন ১১৯ জন। এর বিপরীতে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫ হাজার ৭৭৩ জন। বর্তমানে জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৪৮৩ জন।

গত ১৩ জুলাই কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাবে  ১৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ২৮ জন শনাক্ত হয়েছেন।

১৫ জুলাই বাজিতপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে। এছাড়া তাড়াইল, পাকুন্দিয়া, কটিয়াদী, কুলিয়ারচর, অষ্টগ্রাম ও ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট ১১৮ জনের র্যা পিড এন্টিজেন টেস্টে ৫৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। 

জেলায় নতুন করোনা শনাক্ত হওয়া মোট ৮৬ জনের মধ্যে ৮ জন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বাসিন্দা।

এদিন জেলায় সর্বোচ্চ ৩৭ জন শনাক্ত হয়েছেন ভৈরব উপজেলায়। এছাড়া করিমগঞ্জ উপজেলায় ৬ জন, তাড়াইল উপজেলায় ১১ জন, পাকুন্দিয়া উপজেলায় ১১ জন, কটিয়াদী উপজেলায় ৯ জন, কুলিয়ারচর উপজেলায় ২ জন, নিকলী উপজেলায় ১ জন এবং অষ্টগ্রাম উপজেলায় ১ জন শনাক্ত হয়েছেন।

নতুন সুস্থ হওয়া ২২ জনের মধ্যে করিমগঞ্জ উপজেলায় সর্বোচ্চ ১৯ জন রয়েছেন। বাকি ৩ জনের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ১ জন, কুলিয়ারচর উপজেলার ১ জন এবং মিঠামইন উপজেলার ১ জন রয়েছেন।

কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে বর্তমানে আক্রান্ত ও সন্দেহজনক মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১৮৩ জন যাদের মধ্যে ৭ জন আইসিইউতে রয়েছেন।

গত ২৪ ঘন্টায় নতুন ২৯ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন এবং ২৮ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।

এই সময় পর্যন্ত জেলায় মোট ৭৩৭৫ জন শনাক্ত, ৫৭৭৩ জন সুস্থ এবং ১১৯ জন মারা গেছেন।

জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ১ হাজার ৪৮৩ রোগীর মধ্যে ১১৭ জন হাসপাতালে ও ১ হাজার ৩৬৬ জন হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। 

জেলার একমাত্র অষ্টগ্রাম উপজেলায় এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যাননি।

এদিকে গত ৭ ফেব্রুয়ারি ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর গত ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৭৬ হাজার ৬৬৫ জন প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন। ১৯ জুন থেকে সিনোফর্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেয়া শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ১৩ হাজার ২২৩ জন এই ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন।

সাপ্তাহিক ছুটির কারণে শুক্রবার (১৬ জুলাই) সিনোফর্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়ার কার্যক্রম বন্ধ ছিল।

গত ৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত মোট ৫৯ হাজার ৩০৭ জন দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় কেউ দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেননি।

জেলায় এ পর্যন্ত মোট ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭০৪ জন কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন।