ওয়াগনকে মালবাহী ট্রেনের ধাক্কা: ৩ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল ব্যাহত

দাঁড়িয়ে থাকা ফ্লাই অ্যাশ বোঝাই ১০টি ওয়াগনের সঙ্গে মালবাহী ট্রেনের ধাক্কায় মালবাহী ট্রেনের দুটি ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়। আর ধাক্কা লাগায় ওয়াগানগুলো প্রায় দুই কিলোমিটার চলে থেমে যায়।

শনিবার ভোর সোয়া চারটার দিকে নওয়াপাড়া রেলস্টেশনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ঢাকা থেকে খুলনাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস এবং চিলাহাটি থেকে খুলনাগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেন প্রায় তিন ঘণ্টা আটকে থাকে।

প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, আজ শনিবার ভোর সোয়া চারটার দিকে  নওয়াপাড়া রেলস্টেশনের ২ নম্বর লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল ফ্লাই অ্যাশ বোঝাই ১০টি ওয়াগন। এ সময় মালবাহী একটি ট্রেন ভুলক্রমে ওই লাইনে ঢুকে পড়ে। ফ্লাই অ্যাশ বোঝাই ওয়াগনের সঙ্গে মালবাহী ট্রেনের ধাক্কা লাগে। এতে মালবাহী ট্রেনের দুটি ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়। আর ধাক্কা লেগে ১০টি ওয়াগন চলতে শুরু করে। প্রায় দুই কিলোমিটার গিয়ে উপজেলার তালতলায় ওয়াগনগুলো থেমে যায়।

নওয়াপাড়া রেলস্টেশন সূত্র জানায়, খুলনা থেকে রিলিফ ট্রেন এনে ওয়াগনগুলো স্টেশনে ফিরিয়ে আনা এবং লাইনচ্যুত খালি ওয়াগন দুটি উদ্ধারের কাজ শুরু হয়। সকাল আটটার দিকে স্টেশনের ৩ নম্বর লাইন ক্লিয়ার হয়। সূত্র জানায়, এতে ঢাকা খেকে খুলনাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস এবং চিলাহাটি থেকে খুলনাগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেন প্রায় তিন ঘন্টা সিঙ্গিয়া রেলস্টেশনে আটকে থাকে। সকাল আটটার দিকে ট্রেন দুটি খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

নওয়াপাড়া রেলস্টেশনের মাস্টার বুলবুল আহমেদ বলেন, ভুল সিগন্যালের কারণে মালবাহী ট্রেনটি ২ নম্বর লাইনে ঢুকে পড়ে। ওয়াগনের সঙ্গে মালবাহী ট্রেনের ধাক্কা লাগায় দুটি ওয়াগন লাইনচ্যুত হয় এবং দাঁড়িয়ে থাকা ১০টি ওয়াগন অনেকটা দূরে চলে যায়। এতে খুলনাগামী দুটি ট্রেন আটকে ছিল। লাইন ক্লিয়ার করার পর সকাল আটটার দিকে ট্রেন দুটি খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। বর্তমানে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।