সিরাজগঞ্জের তাড়াশে অবৈধভাবে পশুর হাট বসানোকে কেন্দ্র করে পুলিশের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্পাদকসহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার বিকেলে তাড়াশের বারুহাঁস ইউনিয়নের বারুহাঁস হাটে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাড়াশ থানার এসআই সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস বারুহাঁস ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানাসহ আট জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৬০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

তাড়াশ থানার ওসি মো. ফজলে আশিক সমকালকে জানান,  উপজেলা প্রশাসন থেকে করোনাকালীন সময়ে বারুহাঁস হাটে পশুর হাট বসানো নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু বারুহাঁস ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা এ হাটের পশুর হাটের ইজারা নেন। খবর পেয়ে এই হাট বন্ধ করতে গেলে মাসুদ রানা  ও তার সহযোগীরা তাড়াশ থানার এএসআই নূরনবীসহ চার জন পুলিশ সদস্যকে মারধর করেন ।

বারুহাঁস হাটে পুলিশের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনার ছবি তুলে রাখেন প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন।

পরে খবর পেয়ে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবাউল করিম ও তাড়াশ থানার ওসির নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ ও  ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

মাসুদ রানা ছাড়াও তার চার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন, শহিদুল ইসলাম ঝন্টু, আবু রাসেল, আব্দুল হান্নান ও আবু হাসনাত বাবুকে গ্রেপ্তার করেন। তাদের শনিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।