লকডাউন শিথিলতা আর করোনা সংক্রমণের ভয় নিয়েই এ বছর শুরু হয়েছে কোরবানির পশুর হাট। শুক্রবার থেকে সরকার নির্দেশিত বিভিন্ন হাটবাজার গুলোতে জমে উঠেছে পশুর বাজার। পশুর হাটে প্রবেশের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুখে মাস্ক পরার ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন থেকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রসাশন ও থানা পুলিশ বেশ সজাগ রয়েছে। দূর-দূরান্ত থেকে বেপারীরা বেচাকেনার জন্য গুরু-মহিষ ও ছাগল নিয়ে বাজারে বাজারে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

উপজেলার চৌদ্দগ্রাম হাইস্কুল মাঠ ও চিওড়া কাজীর বাজার সহ কয়েকটি বাজারে বড় গরুর পাশাপাশি ছোট গুরুগুলো ছিলো দেখার মতো। সে হিসেবে বড় গুরুর দামটাও একটু চড়া। দফায় দফায় লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির কারণে গরু ছাগল খামারীরা শঙ্কায় ছিলেন। করোনা ভাইরাসের সংক্রমের কারণে এরই মধ্যে সারাদেশের মতো চৌদ্দগ্রামেও পশুর হাটের সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে। গত বছরও ব্যবসা করতে পারেনি খামারীরা। এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন শিথিলতা দেওয়ায় খামারীদের মাঝে স্বস্তির ভাব লক্ষ্য করা গেছে।

উপজেলার সবচেয়ে বেশি ওজনের (৩০ মণ) গরুটি দেখতে গুনবতীর দশবাহাতে মাউন্ট অ্যাগ্রো ফার্মে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামীণ পরিবেশে সম্পূর্ণ দেশীয় ও প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে বিগবস ও জুনিয়র বসকে কোরবানির জন্য তৈরি করা হয়েছে। বিক্রেতা সাজু ৩০ মণ ওজনের বিগবসের জন্য ২০ লাখ টাকা, ১৯ মণ ওজনের জুনিয়র বসের দাম হাঁকিয়েছেন ১০ লাখ টাকা।

ফার্মের মালিক শাহ্জাহান চৌধুরী সাজু বলেন, ‘আমার বাবার আমল থেকেই আমাদের গরুর খামার ছিলো। ২০১০ সালে বিদেশ থেকে এসে গরু খামারের সঙ্গে জড়িত হই। আমার খামারের বাছুর থেকেই আজকের বিগবস ও জুনিয়র বসের পেছনে কয়েক লাখ টাকা খরচ করি। কুরবানীর ঈদ উপলক্ষে বিগবস ও জুনিয়র বসকে দেখার জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন আসছেন। এ দু’টি গরু আমার নিজেই পোষ মানা। মাংসের ওজনও বেশি, তাই একটু দামও বেশি’।