খুলনায় চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি)। ঈদুল আজহার দিন দুপুর ২টা থেকে তাদের কাজ শুরু হবে। 

ঈদের রাতেই নগরীর সড়ক ও এলাকা থেকে বর্জ্য অপসারণ করা হবে। দ্বিতীয় দিন দুপুর ২টার মধ্যে নগরীর ভেতরের সব এসটিএস (সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন) থেকে বর্জ্য অপসারণ শেষ হবে।

কেসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে জানা গেছে, এবার ঈদে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ, মশক নিধন কাজ এবং করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে নগরীর সড়ক জীবাণুমুক্ত করার কাজ একসঙ্গে চলবে। এ জন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বর্জ্য অপসারণের জন্য কেসিসির ওয়ার্ড পর্যায়ে ৭৩০ জন শ্রমিকের সঙ্গে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে আরও ১০০ শ্রমিক নেওয়া হচ্ছে। বর্জ্য অপসারণের কাজে কেসিসির বিভিন্ন সাইজের ৪০টি ট্রাক ও পাঁচটি পে-লোডার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

কেসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আবদুল আজিজ জানান, ঈদের আগে কয়েক দিন জীবাণুনাশকমিশ্রিত পানি দিয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক পরিস্কার করা হবে। ঈদের দিন দুপুর ১২টা থেকে কাজ শুরুর জন্য শ্রমিকদের প্রস্তুত রাখা হবে। মূল কাজ শুরু হবে দুপুর ২টা থেকে। রাতের মধ্যেই কোরবানির পশুর উচ্ছিষ্ট অংশ অপসারণ করে রাজবাঁধের ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ফেলা হবে।

তিনি বলেন, অনেকে ঈদের দ্বিতীয় দিন কোরবানি দেন। ওই বর্জ্যগুলো যাতে অপসারণ করা যায়, এ জন্য ঈদের পরদিন ও তৃতীয় দিনও শ্রমিকরা মাঠে কাজ করবেন। ঈদের আগের দিন ও পরের দিন নগরীর সড়কে জীবাণুনাশক পানি ছিটানো হবে।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে জানা গেছে, কোরবানির বর্জ্য অপসারণের পর যাতে দুর্গন্ধ ও রোগজীবাণু না ছড়ায়, সে জন্য ছয় হাজার কেজি ব্লিচিং পাউডার ও স্যাভলন কেনা হয়েছে। নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে জনসংখ্যা অনুপাতে দুই থেকে তিন ড্রাম করে ব্লিচিং পাউডার এবং ৫ থেকে ১০ লিটার করে স্যাভলন দেওয়া হয়েছে। ওয়ার্ড পর্যায়ের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা এই কাজ করবেন। নগরবাসী কেউ মনে করলে স্থানীয় ওয়ার্ড অফিস থেকে বিনামূল্যে ব্লিচিং পাউডার নিয়ে নিজ এলাকায় ছিটাতে পারবেন।