কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য নগরে ৩০৪টি স্থান নির্ধারণ করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। একইসঙ্গে ঈদের দিনই জবাই করা পশুর বর্জ্য অপসারণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

শনিবার বিকেলে নগরের আন্দরকিল্লাহ পুরনো নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মেয়রের মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানানো হয়।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বিগত বছরগুলোতে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের সুনাম কুড়িয়েছে চসিক। পশু জবাইয়ের পর আট থেকে ১০ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে হবে। এ জন্য পর্যাপ্ত জনবল, ওয়াকিটকি, গাড়ি, কন্টেইনার মোভার ও টমটম গাড়িসহ যা যা প্রয়োজন, সব ধরনের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, দ্রুত বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে ঈদের দিন চসিক দামপাড়া অফিসে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা থাকবে। যার নম্বর ৬৩০৭৩৯ ও ৬৩৩৬৪৯। নগরীর কোথাও ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখলে নিয়ন্ত্রণ কক্ষে জানানো হলে দ্রুত তা অপসারণ করা হবে।

জবাই করা পশুর চামড়া বিক্রি না হলে তা যত্রতত্র ফেলে না রেখে প্রত্যেক মহল্লায় নির্দিষ্ট একটি স্থানে রাখার আহ্বানও জানান তিনি।

সিটি করপোরেশনের উপ-প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও পশু জবাইয়ের স্থান নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। বর্জ্য দ্রুত সময়ে অপসারণের জন্য নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য নগরবাসীকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

চসিক বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মোবারক আলীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, মো. শফিকুল ইসলাম, হাসান মুরাদ বিপ্লব, আবদুল বারেক, অধ্যাপক মো. ইসমাইল, মো. ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, এসরারুল হক ও মো. ইলিয়াছ।