যাত্রীবাহী বাসের লকারে ৩৯টি ছাগল পরিবহনের ঘটনায় দুই ছাগল ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় বগুড়ার শিবগঞ্জ ও গাবতলী এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার দাড়িদহ এলাকার মোয়াজ্জেম হোসেন ও জেলার গাবতলী উপজেলার জোড়গাছা এলাকার জিন্নাহ মিয়া। 

শিবগঞ্জ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, বুধবার রাতে দিনাজপুর থেকে নওশীন পরিবহন নামে একটি যাত্রীবাহী বাস সিলেট যাচ্ছিল। বাসটি বগুড়ার উপর যাওয়ার সময় মহাস্থানের চন্ডিহারা নামক স্থানে বাসে মালপত্র রাখার লকারে গাদাগাদি করে ৩৯টি ছাগল তোলা হয়। বর্বরোচিত উপায়ে লকারের মধ্যে দীর্ঘ সময় ঠাসাঠাসি করে আটকে রেখে পরিবহন করায় অসুস্থ হয়ে পড়ে ছাগলগুলো। বাসটি ৩৬ ঘণ্টা পর সিলেট পৌঁছলে ছাগলগুলোকে বাস থেকে নামানো হচ্ছিল। সেখানকার কায়েকজন সংবাদকর্মী বিষয় টের পেয়ে এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশিত হয় ১৬ জুলাই।

সংবাদটি পুলিশ হেড কোর্য়াটারের নজরে আসলে দিনাজপুর জেলার সদর থানার ওসিকে এ বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলে বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং। প্রাথমিক তদন্তে দিনাজপুর সদর থানার ওসি নিশ্চিত করেন বাসটি তার এলাকা থেকে ছেড়ে গেলেও বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানা এলাকায় যাত্রা বিরতির সময় ওই বাসে ছাগলগুলোকে তোলা হয়। এর পরপরই বিষয়টি শিবগঞ্জের ওসিকে জানানো হয়। অপরাধীদেরকে দ্রুত খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার নির্দেশনা দেয় মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং।

শিবগঞ্জ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম জানান, শনিবার সন্ধ্যায় ছাগলের মালিক মোয়াজ্জেম হোসেন ও জিন্নাহকে পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়।ছাগলের পরিবহনের সাথে সম্পৃক্ত অন্যদেরকেও আইনের আওতায় আনতে তৎপরতা চলমান রয়েছে।

শিবগঞ্জে পুলিশ হেফাজতে থাকা ছাগলের ব্যাপারী মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, তারা ছাগলগুলো ১০ হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে বাসের লকারে করে নিয়ে যান। পরে শুক্রবারে তারা ছাগলগুলো বিক্রি করে বাড়ি ফিরে আসেন।