লিবিয়ায় জিম্মি স্বামীকে ফেরত চান জোছনা
.
জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২২:১৫
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর বাজারে চুল কাটার দোকান (স্যালুন) ছিল আতাউর রহমানের। সেখানে পরিচয় হয় মানব পাচারকারী চক্রের সদস্যদের সঙ্গে। তাদের মিষ্টি কথার ফাঁদ ও মোটা অঙ্কের আয়ের প্রলোভনে পড়েন আতাউর। লিবিয়া যেতে ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকায় চুক্তি করেন। জমি বিক্রি করে টাকাও তুলে দেন চক্রের সদস্যদের হাতে। গত ১০ অক্টোবর বাড়ি ছাড়েন। এখন আতাউরকে অজ্ঞাত স্থানে জিম্মি করে পরিবারের কাছে দফায় দফায় টাকার জন্য কল দেওয়া হচ্ছে।
চাহিদা অনুযায়ী টাকা না দিলে হত্যারও হুমকি দিচ্ছে চক্রের সদস্যরা।
আতাউরের বাড়ি চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পৌর এলাকার মহানগর দক্ষিণপাড়ায়। গতকাল শনিবার সেখানে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তাঁর স্ত্রী মোছাম্মৎ জোছনা খাতুন। এ ঘটনার জন্য তিনি দায়ী করেন পাচারকারী চক্রের সদস্য ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে নোয়াব আলী (৪০), চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পৌর এলাকার শাহীন হোসেন (২৫) ও নারায়ণপুরের ওসমান আলীকে (৪০)।
জোছনা বলেন, মানব পাচারকারীরা তাঁর স্বামীকে অজ্ঞাত স্থানে রেখে দফায় দফায় টাকা নিচ্ছে। সর্বশেষ তারা ২০ হাজার টাকা দিয়েছেন। তাঁর স্বামীকে জীবিত ফেরত চাইলে আরও ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাবি করছে তারা। না হলে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
অভিযোগের বিষয়ে নোয়াব আলী বলেন, ঢাকার একটি এজেন্সির মাধ্যমে আতাউরকে তারা লিবিয়ায় পাঠান। সেখানে পুলিশের কাছে ধরা পড়ে যান আতাউর। কারাগার থেকে বের হওয়ার পর ওই দেশে সক্রিয় একটি মাফিয়া চক্রের হাতে রয়েছেন। তাদের চাহিদা অনুযায়ী টাকা পাঠালে আতাউরকে দেশে ফেরানো সম্ভব। তারা এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এজেন্সি সাধ্যমতো চেষ্টা করছে বলে দাবি করেন তিনি।
আতাউর রহমান দালালদের মাধ্যমে লিবিয়া গেছেন বলে জানান জীবননগর থানার ওসি এস এম জাবীদ হাসান। তিনি জানান, তিন দালালের বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। যেহেতু দেশের বাইরে এ ঘটনা ঘটেছে, তাই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।