বকশীগঞ্জে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ঢাকাগামী শ্রমিকসহ ৪০ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। রোববার তাদের কাছ থেকে ১৭ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) স্নিগ্ধা দাস।

জানা যায়, কভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে গত ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত 'কঠোর' লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। গত ৩১ জুলাই পোশাক কারখানাসহ বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। শিল্পপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলেও পরিবহন বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েন বাড়ি আসা শ্রমিকরা। চাকরি বাঁচাতে বাড়তি ভাড়া দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাজধানীতে ফিরতে থাকেন হাজারো শ্রমিক। 

শনিবার দিনভর বকশীগঞ্জ হয়ে ঢাকায় ফেরেন কয়েক হাজার যাত্রী। বিকেলে যাত্রীবাহী বাস চলাচলের অনুমতি দেয় সরকার। রোববার ভোর থেকেই কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, রাজীবপুর, রৌমারী, চিলমারীসহ বিভিন্ন স্থান থেকে শত শত নারী-পুরুষ শ্রমিক বিভিন্ন যানবাহনে বকশীগঞ্জ হয়ে ঢাকায় ফিরতে থাকেন। উপচে পড়া ভিড় হয় বকশীগঞ্জ বাস কাউন্টারগুলোতে।

রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা পরিষদের গেটের সামনে বকশীগঞ্জ-কামালপুর সড়কে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) স্নিগ্ধা দাস। দূরদূরান্ত থেকে আসা ঢাকাগামী পোশাক শ্রমিকদের মাস্ক না থাকায় বিভিন্ন অঙ্কের জরিমানা করা হয়। এ সময় রৌমারী থেকে যাত্রী নিয়ে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী এফএন এন্টারপ্রাইজ নামে একটি পরিবহনে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

দিনাজপুর থেকে আসা কফিল উদ্দিনের ছেলে মনির হোসেনকে ৩০০, রৌমারী থেকে আসা আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ইসরাফিলকে ৪০০, রাজীবপুর থেকে আসা মোশারফ হোসেনের ছেলে সবুজ মিয়াকে ৪০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এ সব পোশাক শ্রমিক বকশীগঞ্জ হয়ে ঢাকায় ফিরছিলেন। অভিযানে ৪০ জনের কাছ থেকে ১৭ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) স্নিগ্ধা দাস জানান, সরকারি নির্দেশনা মেনে লকডাউন কার্যকর করতে সার্বক্ষণিক মাঠে আছে প্রশাসন। করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।