নারায়ণগঞ্জে করোনা ডেডিকেটেড তিনশ শয্যা হাসপাতালে সব শয্যা পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় এখন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে রোগী স্থানান্তর করা হচ্ছে। এরই মধ্যে সোনারগাঁ ছাড়া প্রতিটি উপজেলায় করোনা রোগীদের জন্য ২০ শয্যা স্থাপন করা হয়েছে। এতেও সংকুলান না হলে নারায়ণগঞ্জ শহরের শায়েস্তা খান সড়কে জুডিশিয়াল ভবনে অস্থায়ী হাসপাতাল স্থাপনের চিন্তা করছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।

নারায়ণগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন ডা. মুহাম্মদ ইমতিয়াজ জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণ ও রোগী বেড়ে যাওয়ায় খানপুর হাসপাতালের শয্যা পূর্ণ হয়ে গেছে। সেখানে ১১০টি বেডের কোনোটিই খালি নেই। এ অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে করোনা রোগী ভর্তি করা হচ্ছে। সেখানে অক্সিজেন সেবাসহ করোনা রোগীদের সব ধরনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সিভিল সার্জন জানান, প্রতিটি উপজেলায় ২০ শয্যার জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে। তাদের নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে সেগুলো রিফিল করা হচ্ছে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর সূত্র জানিয়েছে, এসব হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া গেলেও পরিস্থিতি গুরুতর হলে প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়া দুরূহ। সেক্ষেত্রে রোগীদের অন্যত্র পাঠানো ছাড়া উপায় থাকে না। ফলে রোগীর তুলনায় বেড বেশি থাকলেও রোগীরা ছুটছেন উন্নত চিকিৎসা পাওয়া যায় এমন হাসপাতালে।

আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বর্তমানে ৯ জন রোগী ভর্তি আছেন। ২০ শয্যার এ হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সরঞ্জাম না থাকলেও যা আছে তা দিয়েই চিকিৎসা চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে জানান এ উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়মা আফরোজ।

সোনারগাঁ উপজেলায় করোনা রোগীদের জন্য ১০টি শয্যা প্রস্তুত রাখা হলেও বর্তমানে সেখানে কোনো রোগী ভর্তি নেই। তবে এ উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. পলাশ কুমার সাহা বলেন, এখানে রোগীদের সেবা দেওয়ার সব প্রস্তুতি রয়েছে।

রূপগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৩ জন করোনা রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। পরিস্থিতি গুরুতর হলে রোগীদের এখান থেকে অন্যত্র পাঠানো হচ্ছে। তবে এখানে ইকুইপমেন্ট আছে বলে দাবি করেছেন উপজেলার মেডিকেল অফিসার ডা. মশিউর রহমান সরকার।

বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নারায়ণগঞ্জ শহরের কাছে হওয়ায় এ হাসপাতালের ২০ শয্যার মধ্যে চারজন করোনা রোগী ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন হাসপাতালের স্টাফ বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন ডা. রেজওয়ানা শারমীন।

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২১৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৬১ জনের।