নড়াইলের লোহাগড়ায় যৌতুকের দাবিতে নন্দিতা নামের এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সকালে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মারা যাওয়া নন্দিতা একই গ্রামের লোহাগড়া পৌরসভার রামপুর গ্রামের মিঠুন পরামানিকের স্ত্রী।

প্রতিবেশীরা জানায়, সোমবার রাতে মিঠুন পরামানিকের সাথে তার স্ত্রী নন্দিতার কথা কাটাকাটি ও ঝগড়ার হয়। পরে তাদের কোন সাড়া-শব্দ না পেয়ে রাতেই প্রতিবেশী মর্জিনা বেগম ও রত্না ঘরের দরজা বন্ধ দেখে তাদেরকে ডাকাডাকি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে তারা ঘরের আড়ার সাথে শাড়ি পেঁচানো অবস্থায় নন্দিতার মৃতদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে তারা শাড়ির প্যাঁচ খুলে দ্রুত নন্দিতাকে লোহাগড়া হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক নন্দিতাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের ভাই উজ্জল সরকার জানান, এক বছর আগে মিঠুনের সাথে তার বোন নন্দিতার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই মিঠুন তার স্ত্রীর কাছে যৌতুকের দাবি করত। যৌতুক দিতে না পারায় তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া লেগে থাকত। সোমবার রাতেও বিষযটি নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে মিঠুন তার বোন নন্দিতাকে হত্যা করে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে দরজা বন্ধ করে পালিয়ে যান।

লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ আবু হেনা মিলন জানান, নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাই লাশ ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই উজ্জল সরকার বাদী হয়ে মঙ্গলবার লোহাগড়া থানায় একটি  মামলা দায়ের করেছেন।