- সারাদেশ
- ঋণ না পেয়ে ব্যাংক ব্যবস্থাপককে মারধর, ব্যবসায়ী কারাগারে
ঋণ না পেয়ে ব্যাংক ব্যবস্থাপককে মারধর, ব্যবসায়ী কারাগারে

অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ আল মামুন রাহাত চৌধুরী
পটুয়াখালীর গলাচিপায় কোটি টাকা ঋণ না দেওয়ায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপককে মারধরের অভিযোগে আব্দুল্লাহ আল মামুন রাহাত চৌধুরী নামে এক ব্যবসায়ীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ আল মামুন রাহাত চৌধুরী গলাচিপা উপজেলা শহরের মেসার্স চৌধুরী ট্রেড লিংক'র সত্ত্বাধিকারী।
এর আগে সোমবার রাতে এ ব্যাপারে গলাচিপা থানায় মামলা করেন অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড গলাচিপা শাখার সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার ও ব্যবস্থাপক মো. নাজমুল হাসান। মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ আল মামুন রাহাত চৌধুরীকে পুলিশ গলাচিপা উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ জানায়, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ব্যবসায়ী রাহাত চৌধুরী ব্যাংক ম্যানেজারের রুমে আসেন এবং তার আগের ৬০ লাখ টাকার ঋণের সঙ্গে আরও ৪০ লাখ টাকা ঋণসহ এক কোটি টাকা ঋণের আবেদন করেন। কিন্তু ম্যানেজার তার আবেদন মঞ্জুর না করায় রাহাত চৌধুরী ক্ষুব্ধ হন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে রাহাত চৌধুরী ম্যানেজারকে মারধরসহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। পাশাপাশি পেপার ওয়েটে দিয়ে টেবিলের গ্লাস ভাঙচুর ও কাগজপত্র নষ্ট করেন। এসময় চিৎকার শুনে ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ব্যবস্থাপককে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
খবর পেয়ে গলাচিপা থানার পুলিশ ব্যাংকে আসে। কিন্তু তার আগেই কৌশলে রাহাত পালিয়ে যান। পরে বিকালে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ব্যবস্থাপক নাজমুল হাসান জানান, রাহাত চৌধুরীর আগের ৬০ লাখ টাকার ঋণ আছে, এরপরও তিনি আরও ৪০ লাখ টাকার ঋণ বর্ধিত করতে চান। কিন্তু তার প্রদত্ত জামানতের বিপরীতে প্রার্থিত ঋণ আওতা বহির্ভূত হওয়ায় তা মঞ্জুর করা না হওয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তার ওপর চড়াও হন।
গলাচিপা থানার উপ-সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) জাহিদুল ইসলাম কবির বলেন, গলাচিপা অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপকের কক্ষ পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। রাহাত চৌধুরী এর আগেও ২০১৫ সালে গলাচিপা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. আলতাফ হোসেনকে (বর্তমানে অবসরে) লাঞ্ছিত করেছিলেন। পরে ওই ঘটনার মীমাংসা হয়ে যায়।
মন্তব্য করুন