কুড়িগ্রামের রৌমারীতে স্ত্রীকে অপহরণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় লিটন মিয়া নামের এক সেনা সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে বগুড়ার শাহজাহানপুর থানা থেকে তাকে রৌমারী থানায় নেওয়া হয়। 

এর আগে ২০ জুলাই অপহৃত লাকি আক্তারের বড় ভাই হাসানুজ্জামান বাদী হয়ে লিটনসহ ৮ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তার লিটন মিয়া উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের বকবান্দা গ্রামের ছেবার উদ্দিনের ছেলে। 

লাকি আক্তারের বড় ভাই হাসানুজ্জামান বলেন, বিয়ের পর থেকেই লিটন মিয়া যৌতুকের জন্য স্ত্রী লাকি আক্তারের ওপর নানাভাবে নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন। নির্যাতন সইতে না পেরে এক সময় সেনা ইউনিটে মৌখিকভাবে অভিযোগ জানান লাকি। এতে লিটন মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে লাকিকে হত্যা ও গুমের হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় গত ২৬ জুন লিটন তার স্ত্রী লাকিকে মায়ের অসুস্থতার কথা বলে ভগ্নিপতি উপজেলার যাদুরচর নতুনগ্রামের (দিগলাপাড়া) জাবেদ আলীর বাড়িতে ডেকে নেন। এরপর থেকে লাকির কোনো খোঁজ না পেয়ে ২ জুলাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। তদন্তকালে পুলিশ জাবেদ আলীর বাড়ির পশ্চিম পাশে ব্রহ্মপুত্র নদের অপর পাশের একটি পাটক্ষেত থেকে একটি ওড়না, ম্যাক্সি ও অন্য একটি জামা উদ্ধার করে পুলিশ, যা লাকি আক্তারের বলে দাবি করেছে তার পরিবার। তারা লাকিকে জীবিত অবস্থায় ফেরত না পাওয়া গেলে তার লাশ ফেরতসহ এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।  

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রৌমারী থানার ওসি (তদন্ত) এম.আর সাইদ বলেন, লাকি আক্তারের পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট থেকে সেনা সদস্য লিটন মিয়াকে শাহজাহানপুর থানায় হস্তান্তর করে। পরে সেখান থেকে মঙ্গলবার সকালে তাকে রৌমারী থানায় আনা হয়। তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। 

রৌমারী থানার ওসি মোন্তাছের বিল্লাহ বলেন, কিছু কাপড়চোপড় আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে। তবে সেগুলো লাকির কিনা শনাক্ত করা যায়নি। লিটন মিয়াকে স্ত্রীকে অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার সকালে তাকে কুড়িগ্রাম জেলহাজতে পাঠানো হবে।