এক সপ্তাহে সারাদেশে করোনাভাইরাসের কোটি টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে সিলেটে ১৮১ কেন্দ্র নির্ধারণ করে প্রস্তুত করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন পেলে আগামী শনিবার থেকে এসব কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে। অবশ্য টিকা প্রাপ্তি সাপেক্ষে কেন্দ্র বাড়তে বা কমতে পারে।

মঙ্গলবার পর্যন্ত আগের বরাদ্দে জেলায় কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রার এক তৃতীয়াংশ টিকাদান সম্ভব হবে। তবে আজকালের মধ্যে অতিরিক্ত টিকার পাশাপাশি অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাও আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্নিষ্টরা। সিলেটে অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজের জন্য প্রায় ১৫ হাজার টিকা গ্রহীতা অপেক্ষায় রয়েছেন।

সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মেজয় দত্ত সমকালকে বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী জেলার ১০০ ইউনিয়নের প্রতিটিতে একটি করে টিকাদান কেন্দ্র নির্ধারণ করে তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। নগরীতে টিকাদান কর্মসূচি সমন্বয়ের দায়িত্বে রয়েছেন সিটি করপোরেশনের (সিসিক) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, নগরীর ২৭ ওয়ার্ডে তিনটি করে ৮১ কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। অবশ্য কাউন্সিলররা চাইলে এক কেন্দ্রে পুরুষ ও নারীর জন্য আলাদাভাবে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পারবেন।

নগরবাসী বর্তমানে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পুলিশ লাইন কেন্দ্রে টিকা নিচ্ছেন। নগরে মডার্না ও উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সিনোফার্মের টিকা দেওয়া হচ্ছে। ৭ আগস্ট থেকে উপজেলার ইউনিয়ন ও নগরীতে ওয়ার্ড পর্যায়ের সিনোফার্ম ও মডার্নার টিকা দেওয়া হবে। পাশাপাশি অ্যাস্ট্রাজেনেকার জন্য অপেক্ষমাণদের দ্বিতীয় ডোজ বর্তমানে চালু কেন্দ্রগুলোতে দেওয়ার কথা রয়েছে।

ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা সূর্যের হাসি চিহ্নিত ক্লিনিক, স্কুল ও কমিউনিটি সেন্টারে টিকা কেন্দ্র হবে। কয়েকটি কাউন্সিলরের কার্যালয়েও কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে।

ডা. জন্মেজয় দত্ত বলেন, প্রতি কেন্দ্রে একজন টিকাদানকারী এবং তিন থেকে চারজন স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাঠকর্মী, কমিউনিউটি হাসপাতালের কর্মীরা এ কাজ করবেন। এ ছাড়া এনজিও কর্মীদের সহায়তা নেওয়া হবে। অনলাইনের মাধ্যমে তাদের প্রশিক্ষণ শেষপর্যায়ে।

তিনি বলেন, এখন একটি কেন্দ্রের প্রতি বুথে দিনে সর্বোচ্চ দুইশ' ডোজ টিকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ইউনিয়ন পর্যায়ের কেন্দ্রগুলোতেও এভাবে বরাদ্দের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে আমরা কী পরিমাণ টিকা বরাদ্দ পাব, তার ওপরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি জানান, ইউনিয়ন পর্যায়ের কেন্দ্রগুলোতে আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে স্পট রেজিস্ট্রেশন করে টিকা দেওয়া হবে।

ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, বর্তমানে ওসমানী হাসপাতাল ও পুলিশ লাইনের দুটি কেন্দ্রের প্রত্যেকটি বুথে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২৫০ ডোজ টিকা দেওয়া হয়। ওয়ার্ড পর্যায়ে প্রতি বুথে এই হারে টিকা বরাদ্দের পরিকল্পনা রয়েছে।