সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানা এলাকায় একটি ভূমিখেকো চক্রের হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় খাদিমনগর ইউনিয়নের লিলাপাড়া ছড়ারপার গ্রামের বৃদ্ধ রিয়াজ আলী। 

তিনি বলেন, পৈতৃক ভিটামাটি দখল করতে চক্রটি একের পর এক মামলা ও পুলিশ দিয়ে হয়রানি করছে। ভিটামাটি রক্ষা না হলে সপরিবারে আত্মহত্যারও হুমকি দেন রিয়াজ। মঙ্গলবার সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ হুমকি দিয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা চান। তার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আত্মীয় নুরুল ইসলাম।

লিখিত বক্তব্য অনুযায়ী, রিয়াজের পৈতৃক ভিটামাটি কেড়ে নিতে নগরীর একটি ভূমিখেকো চক্র একের পর এক মামলা দিয়ে নিঃস্ব করে ফেলছে। ২০১৫ সাল থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত চারটি মামলা করা হয়েছে। সর্বশেষ গত ১০ জুলাই ওই চক্রের কেয়ারটেকার নগরীর তোপখানার মখলিছ আলীর ছেলে আক্কাছ আলীকে দিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেছে। মামলার কারণে তার পাঁচ ছেলে বাড়িছাড়া। থানার ওসি মাইনুল জাকির টাকার বিনিময়ে তদন্ত ছাড়াই মামলা রেকর্ড করেছেন।

বক্তব্যে বৃদ্ধ রিয়াজ আরও জানান, দুটি মামলা থেকে ইতোমধ্যে তারা খালাস পেয়েছেন। তারা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে চান। রিয়াজ তার পৈতৃক ভিটামাটি রক্ষা ও হয়রানি থেকে বাঁচতে এসএমপি কমিশনার, জেলা প্রশাসক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ আইজিপির কাছে ইতোমধ্যে অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি বলেন, এখন আমার অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, আত্মহত্যা ছাড়া আর কোনো উপায় দেখছি না।

অভিযোগ প্রসঙ্গে থানার ওসি খান মুহাম্মদ মাইনুল জাকির সমকালকে বলেন, মামলাটি গ্রহণ করে তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণ না হলে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে। জমির বিষয়টি আদালতের। লোকটি অসহায় হওয়ায় আমরা চেষ্টা করছি তাকে সহযোগিতা করার। কিন্তু উল্টো তিনি মিথ্যাচার করছেন। আত্মহত্যার হুমকি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিষয়টি তার ব্যক্তিগত।