রংপুরের মিঠাপুকুরে পুলিশ পরিচয়ে আসামি ধরতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হয়েছে দুই ভুয়া পুলিশ।

আটককৃতরা হলো- উপজেলার লতিবপুর ইউনিয়নের বাতাসন দূর্গাপুর মৌসুমীপাড়া গ্রামের মৃত নুরুজ্জামানের ছেলে কামরুজ্জামান ও জায়গীর বাসস্টান্ড মসজিদ সংলগ্ন সাইফুল ইসলামের ছেলে দুলাল মিয়া।

রংপুরের সহকারী পুলিশ সুপার(ডি সার্কেল) কামরুজ্জামান সমকালকে বলেন, রোববার এ ঘটনার পর তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। 

তিনি আরো জানান, আরিফুলের নামে মামলা ছিল। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে গ্রেপ্তারকৃতরা পুলিশ সেজে তার বাড়িতে যায়। সেখানে তারা পুলিশের পরিচয় দেয় এবং চাঁদা দাবি করে। পরে খবর পেয়ে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই দুইজন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, কামরুজাম্মান ইতিপূর্বে রংপুর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে ড্রাইভারের চাকরি করতেন। ৬ মাস আগে তার চাকরি চলে যায়। সাইফুল ইসলাম একজন কাঁচামাল ব্যবসায়ী। তারা দুজনই মাদকাসক্ত।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আরিফুল ইসলাম নামে একজন মোটরসাইকেল মেরামতকারী যুবক সম্প্রতি কাফ্রিখাল ইউনিয়নের মহদীপুর গ্রামে বিয়ে করেন। সেখানে বউয়ের সঙ্গে মনোমালিন্য হলে গত ২৭ আগস্ট শ্বশুড়রবাড়ির লোকজন তাকে বেধড়ক মারপিট করে। এরপর সুযোগ বুঝে আরিফুলের পরিবারের লোকজন তার শ্বশুরবাড়ির একজনকে মারধর করে। 

এ ঘটনায় মিঠাপুকুর থানায় মামলা করেন তার শ্বশুড়বাড়ির পক্ষের লোক। মামলার ঘটনায় কাফ্রিখাল ইউনিয়নের কোনাপাড়া গ্রামে দুলাভাইয়ের বাড়িতে পালিয়ে থাকেন আরিফুল ইসলাম। এমতাবস্থায় রোববার ভোরে দুলাভাইয়ের বাড়িতে কামরুজ্জামান ও দুলাল নামে দুই ব্যক্তি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করে। এসময় তারা আরিফুলের গ্রেপ্তার এড়াতে চাঁদা দাবি করে তার স্বজনদের কাছে। 

এ খবর জানতে পেরে স্থানীয় লোকজন বাধা দেয়। পুলিশের পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে তারা দেখাতে পারেনি। তখন এলাকাবাসী ৯৯৯ ফোন করেন। পরে পুলিশ এসে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এঘটনায় আরিফুলের বোন বেবি নাজনিন বাদী হয়ে ওই দুই জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন।