হোমনায় দুই গ্রামের সংঘর্ষের ঘটনায়  ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৪০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর পুলিশ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। 

একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাইকে ঘোষণা দিয়ে গত শনিবার হোমনা উপজেলার ভাষানিয়া ইউনিয়নের  ওমরাবাদ ও কাশিপুর গ্রামের লোকজন দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। 

খবর পেয়ে হোমনা, তিতাস, মুরাদনগর  থানার পুলিশসহ ডিবি পুলিশ এসে ৩ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে  আনে।

ওই ঘটনায় ওমরাবাদ গ্রামের  স্থানীয় ভাষানিয়া  ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি কামরুল ইসলাম ও কাশিপুর গ্রামের   উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সাদেক সরকারসহ ৪০০ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা  দায়ের করেছেন  কাশিপুর গ্রামের বাসিন্দা  মো.কামরুল হাসান ও ওমরাবাদ গ্রামের  বাসিন্দা আক্তার হোসেন।

হোমনা থানার ওসি  মো.আবুল কায়েস আকন্দ জানান, মামলা দায়েরের পর পুলিশ যে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছেন তারা হলেন, মো. খাজা আহাম্মদ(৪০), শাহ জালাল (৩৫) মো. সাব্বির মিয়া এবং মো. জালাল উদ্দিন, কামরুল হাসান, মো. সোহাগ,কামরুল হাসান আরিফ, ও  ইউসুফ।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি আবুল কায়েস জানান, ভাষানিয়া ইউনিয়নের গত  নির্বাচনে  আওয়ামী লীগের  মনোনয়ন নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়ান হোমনা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সাদেক সরকার ও বর্তমান চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা কামরুল ইসলাম। তাদের বিরোধের জেরেই শনিবার সংঘর্ষে জড়ান দুই গ্রামের বাসিন্দারা।

ওসি  মো.আবুল কায়েস আকন্দ বলেন, মামলার বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অধিকতর তদন্ত করে উভয় মামলার চার্জশিট প্রদান করা হবে। কাউকে ছাড় বা মিথ্যে হয়রানি করা হবে না।