সালিশ বৈঠকে অপ্রাপ্ত বয়স্ককে বিয়ে করা বাউফলের সেই আলোচিত চেয়ারম্যান মো. শাহীন হাওলাদার এবার এক স্বাস্থ্যকর্মীকে পিটিয়েছেন। 

শনিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গণটিকাদান কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। 

নির্যাতনের শিকার স্বাস্থ্যকর্মী আল-আমিন সিকদার রোববার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও সিভিল সার্জনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। সেদিন মারধরের ঘটনার সময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সাহা এবং ইউনিয়ন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক তাসলিমা নাজনীনকে গালাগালও করেছিলেন চেয়ারম্যান। এসব ঘটনায় স্বাস্থ্য বিভাগে চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

আল-আমিন সিকদার বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী নিবন্ধন করে আমরা কনকদিয়া ইউনিয়নে ৬০০ জনকে টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নিই এবং সব আয়োজন সম্পন্ন করে কার্যক্রম শুরু করি। তবে ইউপি চেয়ারম্যান সকাল ১১টার দিকে আমাদের বলেন, যারা টিকা দিতে এসেছে তাদের ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি রেখে টিকা দিয়ে দেন। এতে আপত্তি তুলে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিলে চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং আমাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুসি ও লাথি মারেন। এক পর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাই।

আল-আমিন আরও বলেন, পরে সহকর্মীরা আমাকে সুস্থ করে তোলেন। সুস্থ হয়ে শুনতে পাই, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক তাসলিমা এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমারকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেছে।

চেয়ারম্যান মো. শাহীন হাওলাদার অভিযোগ করেন, যারা এনআইডি কার্ড নিয়ে আসবে, তারা টিকা পাবেন। অথচ এখানে টিকার দায়িত্বে থাকা ওই স্বাস্থ্যকর্মী তার নিজেদের আত্মীয়স্বজনদের আগে টিকা দিচ্ছেন। এর ফলে সেখানে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। এর প্রতিবাদ করেছি মাত্র। কাউকে মারধর কিংবা গালাগাল করিনি। ওই স্বাস্থ্যকর্মী তার নিজের অপরাধ থেকে বাঁচার জন্য এখন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে। আমিও সিভিল সার্জনের কাছে অভিযোগ দেব।

এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম শিপন জানান, ওই স্বাস্থ্যকর্মী লিখিত অভিযোগ করেছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসনকেও অবহিত করা হয়েছে এবং সরকারি বিধি অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।