ময়মনসিংহের তারাকান্দায় ২২ দিন বয়সী শিশু নাঈম মিয়াকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন মা সাবিকুন্নাহার। 

শিশুটির বাবার দায়ের করা মামলায় শিশুটির মাকে রোববার বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। 

তারাকান্দা থানার ওসি আবুল খায়ের সমকালকে জানান, সিনিয়র জুডিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট দেওয়ান মনিরুজ্জামানের আদালতে সন্তান হত্যার স্বীকারোক্তি দেন মা।

তারাকান্দা উপজেলার বিসকা ইউনিয়নের লালমা গ্রামের হুমায়ুন মিয়া ও সাবিকুন্নাহার দম্পতির প্রথম সন্তান নাঈম মিয়া। দেড় বছর আগে বিয়ে হওয়া দম্পতির ঘরে গত ২২ দিন আগে জন্ম হয় শিশুটির। গত শনিবার বিকেলে বাড়ির পাশে পুকুরে ভেসে উঠে নবজাতকের মরদেহ। 

এর আগে শুক্রবার রাতের শেষ ভাবে শিশুটির নিখোঁজ হওয়া নিয়ে মা সাবিকুন্নাহার প্রাথমিকভাবে পুলিশকে জানিয়েছিলেন, শুক্রবার রাত ৩টার দিকে শব্দ শুনে দরজা খোলেন তিনি। দরজার সামনে সাদা কাপড় পরা অপরিচিত দুই নারী বলতে থাকেন- ‘তোর ছেলেকে দে, পানি খাওয়াবো।’ ছেলেকে কোলে দেওয়ার পর দুই নারী বলেন, ‘তোর ছেলেকে এখনই দিয়ে যাবো। এরপর শিশুটিকে নিয়ে চলে যায় দুই নারী। কিন্তু অনেক সময় পেরিয়ে গেলেও ছেলেকে নিয়ে না ফেরায় তিনি চিৎকার শুরু করেন।

পুলিশ শিশুটির লাশ উদ্ধারের পর শনিবার রাতভর ও রোববার দুপুর পর্যন্ত মা সাবিকুন্নাহারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

 নবজাতক সন্তানকে হত্যায় বাবা হুমায়ুন অজ্ঞাত আসামি করে রোববার সকালে একটি হত্যা মামলা করেন। 

ওই দুপুরে ঘটনার বিস্তারিত পুলিশকে জানায় সাবিকুন্নাহার। পরে তাকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রোববার বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা স্বীকারোক্তি দেয়।

ওসি আবুল খায়ের বলেন,‘ শিশুটির মা আদালতে দেয়া জবানবন্দির সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন। মা সাবিকুন্নাহার জানান, সন্তানের জন্ম ২২ দিন হলেও বুকে দুধ না আসায় খাওয়াতে পারেনি সে। তার শ্বশুর- শাশুড়ি দেখাশোনা ও তাদের কাছেই বেশি রাখতো। সন্তানকে বুকের দুধ না খাওয়াতে পারা ও  আদর করতে কাছে না পাওয়ার হতাশা থেকেই রাতের বেলায় পুকুরে ফেলে দেয়। ‘