
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত খুলে দেওয়া হয়েছে বৃহস্পতিবার। প্রথম দিনে ছিলেন স্বল্পসংখ্যক পর্যটক। এর মধ্যেই পর্যটকদের সেবা দিতে নিজের বিচ বাইকটি ধোয়ামোছা করে নেন এক তরুণ- সমকাল
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে খুলেছে পর্যটন, বিনোদন কেন্দ্র ও কমিউনিটি সেন্টারগুলো। তবে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীর তেমন ভিড় ছিল না। আজ শুক্রবার ছুটির দিনে ভিড় বাড়ার আশা করা হচ্ছে। সংশ্নিষ্টরা বলছেন, পর্যটন খাতের ঘুরে দাঁড়াতে দীর্ঘ সময় লাগবে।
এদিকে, পর্যটন ব্যবসায় মন্দা থাকলেও দীর্ঘ সময়ের বিরতিতে পাহাড়, বন ও সমুদ্রে যেন প্রাণ ফিরে এসেছে। যেসব জায়গায় মানুষ ভিড় করতে করতে দূষণ বাড়িয়েছেন, সেখানে প্রাণ-প্রকৃতি নতুন রূপে সেজেছে। এমন নির্মল পরিবেশ ধরে রাখা গেলে পর্যটনশিল্পের আরও উন্নতি হতে পারে বলে আশা পরিবেশবিদদের।
ঢাকার শিশু মেলা, ওয়ান্ডারল্যান্ড, ফ্যান্টাসি কিংডমসহ বেশ কিছু বিনোদন কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, দর্শনার্থীর সংখ্যা কম। রাজধানীর শিশু-কিশোরদের প্রধান বিনোদন কেন্দ্র ডিএনসিসি ওয়ান্ডারল্যান্ডের (সাবেক শিশুমেলা) প্রবেশমুখে দর্শনার্থীর শরীরের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছিল। সবাইকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া হয়। দর্শনার্থী কম থাকায় ভেতরে অনেকটাই ফাঁকা ছিল।
ওয়ান্ডারল্যান্ড গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এম মুস্তাফিজ সমকালকে বলেন, ঢাকাসহ সারাদেশে তাদের ১১টি পার্কের মধ্যে ৯টি খুলেছে। অন্য সময়ে প্রতিদিন এক হাজারের বেশি দর্শনার্থী থাকলেও গতকাল ২০০ থেকে ৩০০ দর্শনার্থী প্রবেশ করেছেন।
এদিকে, অন্যান্য বিনোদন কেন্দ্র খুলে দেওয়া হলেও মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানা, বোটানিক্যাল গার্ডেন, সেন্টমার্টিন ও সুন্দরবন আপাতত বন্ধই থাকছে। গতকাল চিড়িয়াখানার সামনে গিয়ে দেখা গেছে, বিনোদন কেন্দ্র খোলার খবরে অনেকেই পরিবার নিয়ে সেখানে এসেছেন। সবাইকে হতাশ হয়েই ফিরে যেতে হয়েছে। প্রাণীদের নিরাপত্তায় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে আগামী মাসের শুরুর দিকে চিড়িয়াখানা দর্শনার্থীর জন্য উন্মুক্ত করা হতে পারে বলে সমকালকে জানিয়েছেন জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক ডা. মো. আবদুল লতীফ।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটক কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটিতে যাওয়া শুরু করেছেন। এসব এলাকায় পর্যটক কম থাকলেও সিলেটের চিত্র ভিন্ন। রাতারগুল, সাদাপাথর, বিছনাকান্দি, জাফলং, লালাখাল পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে গতকাল সকাল থেকে দর্শনার্থী ছুটে আসেন। সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরসহ সীমান্তের পর্যটন স্পটগুলোর নীরবতা ভেঙেছে। হবিগঞ্জের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন স্পট সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান এখনও খোলেনি।
পর্যটন খাতের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সহিদুল ইসলাম সাগর সমকালকে বলেন, অন্যান্য সময়ের চেয়ে পর্যটকের সংখ্যা খুবই কম। পর্যটনের যে ক্ষতি হয়েছে, তা পোষাতে অন্তত দুই বছর সময় লাগবে। কারণ, করোনা স্বাভাবিক না হলে বিদেশি পর্যটক আসবে না। মানুষের আয় কমে গেছে, অনেকেই ভ্রমণে যাবেন না। তবে একটানা খুলে রাখা গেলে অভ্যন্তরীণ পর্যটন ধীরে ধীরে চাঙ্গা হবে।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের গভর্নিং বডির সদস্য মো. রাফেউজ্জামান বলেন, শর্তের বেড়াজাল থাকলে অভ্যন্তরীণ পর্যটন চাঙ্গা হবে না। মানুষ এত শঙ্কা নিয়ে ঘুরতে যাবে না। সবকিছু পুরোপুরি খুলে দিলে মানুষ ভ্রমণে উৎসাহী হবেন।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) জাবেদ আহমেদ বলেন, পর্যটন কেন্দ্রে আমরা সাত দফা নির্দেশনা জারি করেছি। এ ছাড়া আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত আছে। সচেতনতা সৃষ্টির জন্য মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে।
এদিকে, পর্যটন ব্যবসায় মন্দা থাকলেও দীর্ঘ সময়ের বিরতিতে পাহাড়, বন ও সমুদ্রে যেন প্রাণ ফিরে এসেছে। যেসব জায়গায় মানুষ ভিড় করতে করতে দূষণ বাড়িয়েছেন, সেখানে প্রাণ-প্রকৃতি নতুন রূপে সেজেছে। এমন নির্মল পরিবেশ ধরে রাখা গেলে পর্যটনশিল্পের আরও উন্নতি হতে পারে বলে আশা পরিবেশবিদদের।
ঢাকার শিশু মেলা, ওয়ান্ডারল্যান্ড, ফ্যান্টাসি কিংডমসহ বেশ কিছু বিনোদন কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, দর্শনার্থীর সংখ্যা কম। রাজধানীর শিশু-কিশোরদের প্রধান বিনোদন কেন্দ্র ডিএনসিসি ওয়ান্ডারল্যান্ডের (সাবেক শিশুমেলা) প্রবেশমুখে দর্শনার্থীর শরীরের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছিল। সবাইকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া হয়। দর্শনার্থী কম থাকায় ভেতরে অনেকটাই ফাঁকা ছিল।
ওয়ান্ডারল্যান্ড গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এম মুস্তাফিজ সমকালকে বলেন, ঢাকাসহ সারাদেশে তাদের ১১টি পার্কের মধ্যে ৯টি খুলেছে। অন্য সময়ে প্রতিদিন এক হাজারের বেশি দর্শনার্থী থাকলেও গতকাল ২০০ থেকে ৩০০ দর্শনার্থী প্রবেশ করেছেন।
এদিকে, অন্যান্য বিনোদন কেন্দ্র খুলে দেওয়া হলেও মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানা, বোটানিক্যাল গার্ডেন, সেন্টমার্টিন ও সুন্দরবন আপাতত বন্ধই থাকছে। গতকাল চিড়িয়াখানার সামনে গিয়ে দেখা গেছে, বিনোদন কেন্দ্র খোলার খবরে অনেকেই পরিবার নিয়ে সেখানে এসেছেন। সবাইকে হতাশ হয়েই ফিরে যেতে হয়েছে। প্রাণীদের নিরাপত্তায় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে আগামী মাসের শুরুর দিকে চিড়িয়াখানা দর্শনার্থীর জন্য উন্মুক্ত করা হতে পারে বলে সমকালকে জানিয়েছেন জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক ডা. মো. আবদুল লতীফ।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটক কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটিতে যাওয়া শুরু করেছেন। এসব এলাকায় পর্যটক কম থাকলেও সিলেটের চিত্র ভিন্ন। রাতারগুল, সাদাপাথর, বিছনাকান্দি, জাফলং, লালাখাল পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে গতকাল সকাল থেকে দর্শনার্থী ছুটে আসেন। সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরসহ সীমান্তের পর্যটন স্পটগুলোর নীরবতা ভেঙেছে। হবিগঞ্জের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন স্পট সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান এখনও খোলেনি।
পর্যটন খাতের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সহিদুল ইসলাম সাগর সমকালকে বলেন, অন্যান্য সময়ের চেয়ে পর্যটকের সংখ্যা খুবই কম। পর্যটনের যে ক্ষতি হয়েছে, তা পোষাতে অন্তত দুই বছর সময় লাগবে। কারণ, করোনা স্বাভাবিক না হলে বিদেশি পর্যটক আসবে না। মানুষের আয় কমে গেছে, অনেকেই ভ্রমণে যাবেন না। তবে একটানা খুলে রাখা গেলে অভ্যন্তরীণ পর্যটন ধীরে ধীরে চাঙ্গা হবে।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের গভর্নিং বডির সদস্য মো. রাফেউজ্জামান বলেন, শর্তের বেড়াজাল থাকলে অভ্যন্তরীণ পর্যটন চাঙ্গা হবে না। মানুষ এত শঙ্কা নিয়ে ঘুরতে যাবে না। সবকিছু পুরোপুরি খুলে দিলে মানুষ ভ্রমণে উৎসাহী হবেন।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) জাবেদ আহমেদ বলেন, পর্যটন কেন্দ্রে আমরা সাত দফা নির্দেশনা জারি করেছি। এ ছাড়া আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত আছে। সচেতনতা সৃষ্টির জন্য মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন