- সারাদেশ
- ছুটির দিনে বরিশালে পরিস্থিতি শান্ত
ছুটির দিনে বরিশালে পরিস্থিতি শান্ত

নগরীতে থমথমে অবস্থা; শান্ত জনজীবন। শুক্রবার দুপুরে শহরের ছবি-সমকাল
বরিশাল সদর উপজেলা নিরবাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসায় হামলা ও আনসার সদস্যদের গুলি ছোড়ার ঘটনায় বুধবার মধ্য রাত থেকে বৃহস্পতিবার দিনভর বরিশাল নগরী ছিল উত্তেজনায় টানটান। তবে শুক্রবার সকাল থেকে নগরীতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করলেও সার্বিক পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রয়েছে। সরকারি ছুটি ও শুক্রবার হওয়ার কারণে নগরীতে যানবাহন চলাচল ছিল সীমিত। জনজীবন রযেছে স্বাভাবিক।
এদিকে উদ্ভূতত পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে নগরীতে বিজিবি মোতায়েনের কথা থাকলেও শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত বরিশালে বিজিবি এসে পৌঁছায়নি। জেলা প্রশাসনের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, রাতের মধ্যে বিজিবি এসে পৌঁছাতে পারে। তবে ১০ জন বাড়তি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বরিশালে পৌঁছেছেন।
শুক্রবার বরিশাল নগরীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে থমথমে অবস্থা দেখা গেছে; তবে জনজীবন ছিল স্বাভাবিক। নগরীতে যানবাহন চলাচল ছিল কম। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বরিশাল নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে আছে পুলিশ। পাশাপাশি টহল দিচ্ছে র্যাব।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) আলী আরশাফ মিয়া বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মামলায় বাকি যে আসামিরা রয়েছে তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল হাসান বাদল বলেন, বরিশালের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। প্রয়োজন না হলে বিজিবি মাঠে নামানো হবেনা। তবে যদি প্রয়োজন হয় তাহলে বিজিবি মাঠে নামবে।
এ ঘটনায় হওয়া পৃথক দুই মামলায় ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এছাড়া রাতভর নগরীর বিভিন্ন স্থানে মামলার আসামিদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। পুলিশ এবং সদর উপজেলা ইউএনও মো. মুনিবুর রহমানের করা পৃথক দুটি মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে। এছাড়া মামলা আসামি ৬০১ জন।
এদিকে আওয়ামী লীগ- ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এছাড়া জেলার বাবুগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগ বেলা ১১টার দিকে উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
মন্তব্য করুন