পঁচাত্তরে পনের আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার দায়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ‘মরণোত্তর বিচার’ দেখতে চান বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান।

আজ শুক্রবার শেরপুর শিল্পকলা একাডেমিতে করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ সাংবাদিকদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আর্থিক সহায়তা (দ্বিতীয় পর্যায়ের) চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 

মুরাদ হাসান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার মাষ্টার মাইন্ড খুনি জেনারেল জিয়াউর রহমান। তার মরণোত্তর বিচার দেখতে চাই।’ 

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি আগামী প্রজন্মের জানা উচিৎ কারা জাতির পিতার হত্যাকারী। কারা হত্যার সুবিধাভোগী। কারা স্বাধীনতাবিরোধী শাহ আজিজ, মৌলানা মান্নানকে মন্ত্রী বানিয়েছে। তাদের হাতে পতাকা তুলে দিয়েছে। কারণ ইতিহাস না জানলে দেশ, জাতি  রাষ্ট্র সঠিকভাবে পরিচালিত হবে না।’

আফগানিস্তানে তালেবানরা আবারও যখন ক্ষমতাসীন হতে চলেছে, তখন বাংলাদেশে বসবাসরত ‘পাকিস্তানপ্রেমীরা খুশি’ হয়েছে উল্লেখ করে মুরাদ হাসান বলেন, ‘আফগানিস্তান তালেবান দখল করেছে দেখে এ দেশের পাকিস্তানিরা বেজায় খুশি হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া দেখে মনে হয়  বাংলাদেশ আবার পাকিস্তান হয়ে গেছে।  বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর স্বপ্নে বিভোর। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বেচে থাকতে বাংলার মাটিতে এ স্বপ্ন কোনো দিন পূর্ণ হবে না। ’

জেলা প্রশাসন ও প্রেসক্লাবের আয়োজনে বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান আতিক। জেলা প্রশাসক মো.মোমিনুর রশিদের সভাপতিত্বে সভায় পুলিশ সুপার হাসান নাহিদ চৌধুরী, পৌর মেয়র গোলাম কিবরিয়া লিটন, প্রেসক্লাব সভাপতি মো.শরিফুর রহমান বক্তব্য রাখেন। 

এদিন মন্ত্রী জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ৪৬ জন সাংবাদিকের হাতে ১০ হাজার টাকা করে সহায়তার চেক  তুলে দেন।