তথ্য ঘষামাজা (টেম্পারিং) করার আশঙ্কায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া চট্টগ্রামের আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যার সব নথিপত্র বিচারিক (জুডিশিয়াল) হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

সোমবার ওই মামলার বাদী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের এক আবেদনের ওপর শুনানি শেষে এ আদেশ দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমান।

মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেনের দায়ের করা নতুন মামলার এক নম্বর আসামি বাবুল আক্তার। বর্তমানে তিনি এ মামলায় কারাগারে রয়েছেন। 

বাবুলের আইনজীবী ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী সমকালকে বলেন, মিতু খুনের পর তার স্বামী বাবুল আক্তার বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় দায়ের করা মামলায় পিবিআই ফাইনাল রিপোর্ট দেওয়ায় আমরা নথিতে ডুকমেন্ট টেম্পারিং কিংবা নষ্ট করার আশঙ্কা করছিলাম। তাই সব নথি জুডিশিয়াল হেফাজতে রাখার আবেদন করি। শুনানি শেষে আদালত জুডিশিয়াল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে আদালত এ মামলার সব নথির নকল দেওয়ার জন্য আদেশ দিয়েছেন।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরের জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় মিতুকে। হত্যাকাণ্ডের পর নগরের পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয়ের কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করা হয়, যার বাদী ছিলেন বাবুল আক্তার। পরে মামলার তদন্তে নতুন মোড় নেয়। বাদী থেকে আসামি হন বাবুল আক্তার। গত ১২ মে মিতুর বাবা মোশাররফ হাসেন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।