পাওনা তিন লাখ টাকা পরিশোধ করতে দেরি করায় কুমিল্লার ময়নামতিতে সেলুনে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেনকে হত্যা করা হয়। পরে মরদেহ বস্তায় ভরে বাইরে গুম করার পরিকল্পনা করা হয়। তবে ধরা পড়ার আশঙ্কায় সেলুনের ভেতর মরদেহ ভর্তি বস্তা রেখে দোকানে তালা লাগিয়ে আত্মগোপন করেন সেলুন মালিক লক্ষণ চন্দ্র শীল। সোমবার কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে দেওয়া জবানবন্দিতে এসব তথ্য জানান লক্ষণ চন্দ্র। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পিবিআই কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন মাহমুদ সোহেল।

পিবিআই জানায়, গত রোববার জেলার মনোহরগঞ্জ থেকে লহ্মণ চন্দ্রকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ কর্মকর্তা মহিউদ্দিন মাহমুদ জানান, দেলোয়ার হোসেনের কাছে ময়নামতির টিপরা বাজারের লক্ষণ হেয়ার কাটিং সেলুনের মালিক লক্ষণ চন্দ্রের তিন লাখ টাকা পাওনা ছিল। তবে দেলোয়ার টাকা পরিশোধ করতে দেরি করায় তাদের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। গত বৃহস্পতিবার রাতে দেলোয়ার সেলুনে এলে লক্ষণ তার শরীর প্রায় এক ঘণ্টা ধরে মেসেজ করেন। রাত গভীর হলে একপর্যায়ে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যান।

নিহত দেলোয়ার হোসেনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল এলাকায়। তিনি জেলার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের ফরিজপুর এলাকায় ভাড়া থাকতেন। অন্যদিকে, লক্ষণ চন্দ্র জেলার আদর্শ সদর উপজেলার আমতলী এলাকার বাসিন্দা।