চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলী রেলওয়ে স্টেশনে লাইনচ্যুত হওয়া তেলবাহী ট্রেনের ওয়াগনগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার বেলা ১২টার দিকে উদ্ধার কার্যক্রম শেষ হলে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এর মধ্য দিয়ে প্রায় ১১ ঘণ্টা পর খুলনার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।

রোববার রাত পৌনে ১টার দিকে উথলী স্টেশনের সামনে লুপ লাইন থেকে মেইন লাইনে ওঠার সময় ট্রেনটির চারটি তেলবাহী ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়। এতে খুলনার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

উথলী রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মোহাম্মদ আলী জানান, ডিজেলবোঝাই ৩১টি ওয়াগন নিয়ে খুলনা থেকে নাটোরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে ট্রেনটি। উথলী রেলওয়ে স্টেশনে আসার পর ক্রসিংয়ের জন্য ট্রেনটি ২ নম্বর লাইনে নেওয়া হয়। রাত ১২ টা ৪০ মিনিটে ক্রসিং শেষে ট্রেনটি নাটোরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। ট্রেনটি ২ নম্বর লাইন থেকে ১ নম্বর লাইনে ঢোকার পর ১৪/১৫ নম্বর পয়েন্ট অতিক্রম করার সময় পাঁচটি ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়। এতে উথলী স্টেশনের পার্শ্ববর্তী দর্শনা, আনসারবাড়িয়া ও সাবদালপুর স্টেশনে চারটি যাত্রীবাহী ট্রেন আটকা পড়ে।

পাকশী রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঈশ্বরদী থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। বেলা ১২টার দিকে উদ্ধার কার্যক্রম শেষ হলে খুলনার সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়। 

তিনি জানান, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেলে দুর্ঘটনার কারণ জানা যাবে।