পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় জান্নাতুল ফেরদৌস মুনমুন (২৮) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে। সোমবার দুপুরে পৌর শহরের ছোট কানুয়া মহল্লার শিরিন মঞ্জিল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

মারা যাওয়া মুনমুন একই এলাকার ইলেট্রনিক্স ব্যবসায়ী সুমনের দ্বিতীয় স্ত্রী এবং কাউখালী উপজেলার কেউন্দিয়া গ্রামের আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরের মেয়ে। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ গৃহবধূর স্বামী সুমন হাওলাদার, শাশুড়ি শিরিন বেগম, ননদ নুপুর আক্তারকে আটক করেছে। ঘটনার পর থেকে মুনমুনের শ্বশুর সোহরাব হোসেন হাওলাদার পালিয়ে গেছেন।

স্থানীয় ও মুনমুনের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ বছর আগে সুমন হাওলাদারের সঙ্গে মুনমুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে প্রায়ই মুনমুনকে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা মারধর করতেন। সকালে সুমনের এক প্রতিবেশী মুনমুনের বোনকে তার বোনের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে বলে খবর দেন। পরে তারা এসে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘরের ভেন্টিলেটরের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মুনমুনের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।  

মুনমুনের বোন স্নিগ্ধার অভিযোগ, তার বোনকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তার প্রশ্ন, একটি চেয়ারের ওপর দাঁড়িয়ে কারও পক্ষে ভেন্টিলেটর হাত দিয়ে ধরা কি সম্ভব?

ভাণ্ডারিয়া থানার ওসি মো. মাসুমুর রহমান বিশ্বাস জানান, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। মুনমুনের স্বামী সুমনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।