প্রায় ৫ মাস পর সুন্দরবন পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এ ম্যানগ্রোভ বনে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে পর্যটকরা যেতে পারবেন। 

করোনা পরিস্থিতি ও বন বিভাগের নিজস্ব নিষেধাজ্ঞার কারণে এ ৫ মাস সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশ বন্ধ ছিল। এখন পর্যটকদের সুন্দরবনে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ট্যুর অপারেটররা।

বন বিভাগের খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দে সমকালকে জানান, করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ৩ এপ্রিল সরকার সুন্দরবনে পর্যটন বন্ধ ঘোষণা করে। এরপর প্রজনন মৌসুম হওয়ায় জুন, জুলাই ও আগস্ট মাসে সুন্দরবনে মাছ ও কাঁকড়াসহ সম্পদ আহরণ এবং পর্যটক প্রবেশে বন বিভাগ নিষেধাজ্ঞা দেয়। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে আবার পর্যটকরা সুন্দরবনে যেতে পারবেন।

তিনি আরও জানান, করোনার কারণে সুন্দরবনে ভ্রমণের ক্ষেত্রে অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। প্রতিটি লঞ্চে ৭৫ জনের বেশি পর্যটক নেওয়া যাবে না। সুন্দরবন ভ্রমণ নীতিমালা অমান্য করে কোনো ট্যুর অপারেটর অধিক পর্যটক বহন বা পরিবেশ বিঘ্নিত করলে তার বিরুদ্ধে বন বিভাগ আইনগত ব্যবস্থা নেবে।

বন বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছর ১৯ মার্চ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় ৭ মাস সুন্দরবনে পর্যটন বন্ধ ছিল।

ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবনের (টোয়াস) সাধারণ সম্পাদক এম নাজমুল আযম ডেভিড সমকালকে জানান, ইতিমধ্যে তারা সুন্দরবনে পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছেন। তবে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে সুন্দরবনে কম সংখ্যক পর্যটক যায়। মধ্য নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত সুন্দরবনে পর্যটনের ভরা মৌসুম। অনেক পর্যটক নভেম্বর-ডিসেম্বরে সুন্দরবন ভ্রমণে যাওয়ার জন্য অগ্রিম বুকিং দেয়।

ট্যুর অপারেটররা জানান, সরকার সারাদেশের পর্যটন স্পট গত ১৯ আগস্ট থেকে খুলে দেয়। কিন্তু এতোদিন সুন্দরবনে পর্যটন বন্ধ ছিল। পর্যটকদের সেই অপেক্ষার অবসান ঘটতে যাচ্ছে। সুন্দরবনে করমজল, হাড়বাড়িয়া, কটকা, কচিখালি, দুবলারচর, কলাগাছিয়াসহ ৭টি পর্যটন স্পট রয়েছে। এসব স্থানে সাধারণত পর্যটকরা ভ্রমণে আসে।