- সারাদেশ
- যেভাবে দল ভারী করে আনসার আল ইসলাম
যেভাবে দল ভারী করে আনসার আল ইসলাম

অ্যাপসভিত্তিক যোগাযোগমাধ্যম 'টেলিগ্রাম'-এর মাধ্যমে দেড় মাস আগে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সঙ্গে যুক্ত হন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মামুন। জঙ্গিদের কাছে টেলিগ্রাম অ্যাপটিই জনপ্রিয়। এই অ্যাপ দিয়ে সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করে দেন মামুন। দলে আরও দু'জনকে ভেরান। র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর তিন দিনের পুলিশি রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য দিয়েছেন তিনি। রিমান্ড শেষে সোমবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
আবদুল্লাহ আল মামুন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রাইম এশিয়াতে টেপটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তার বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার চরহোসেনপুর গ্রামে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঈশ্বরগঞ্জ থানার এসআই রেজাউল বলেন, মোবাইল অ্যাপ টেলিগ্রামের মাধ্যমে একটি আইডি থেকে মামুনকে পিডিএফ ফাইলে সাতটি বই পাঠানো হয়। বইগুলো পড়ার পর তার মতামত নেওয়া হয়। এরপর ইসলামী বোধকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের দলে সদস্য বৃদ্ধি করতে বলে দেওয়া হয়। এভাবেই আনসার আল ইসলাম নিজেদের দল ভারী করে। মামুনের দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে বলে জানান এসআই রেজাউল।
এদিকে জঙ্গি তৎপরতার সঙ্গে যুক্ত মামুন গ্রেপ্তার হওয়ায় এলাকাবাসী হতবাক। খুব সাদাসিধে ধরনের এই ছেলে জঙ্গিবাদে জড়াতে পারে, অনেকের তা অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে। তবে মামুনের পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খুব চাপা স্বভাবের মামুন বাসা থেকে প্রয়োজন ছাড়া বের হতেন না। দিনভর ঘরেই থাকতেন। সময়ে সময়ে নামাজ পড়তেন। কিন্তু দেড় মাস ধরে মোবাইল ফোনে বেশি ডুবে থাকতেন।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি আবদুল কাদের মিয়া বলেন, শান্ত প্রকৃতির ছেলেদের ব্রেন ওয়াশ করা সহজ। রিমান্ডে এনে মামুনের কাছ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। প্রয়োজনে আবারও তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
মন্তব্য করুন