- সারাদেশ
- কুমিল্লায় মামলা তদন্তে ঘুষ দাবি, এসআই প্রত্যাহার
কুমিল্লায় মামলা তদন্তে ঘুষ দাবি, এসআই প্রত্যাহার

প্রতীকী ছবি
কুমিল্লার দেবিদ্বারে এক কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ওমর ফারুককে গত রোববার কুমিল্লা পুলিশ লাইন্সে ক্লোজ করা হয়েছে।
তবে সোমবার রাতে কুমিল্লা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ সমকালকে বলেছেন, ঘুষ দাবির বিষয়টি জানা নেই; কিন্তু ধর্ষণচেষ্টা মামলা তদন্তে ওই তদন্ত কর্মকর্তার গাফিলতি থাকায় তাকে পুলিশ লাইন্সে ক্লোজ করা হয়েছে।
গত ২০ আগস্ট দুপুরে দেবিদ্বার উপজেলার কুরছাপ গ্রামে ধর্ষণচেষ্টার মামলা তুলে নিতে অভিযুক্ত হাসান এবং তার ভাই কাউছার আহম্মেদসহ অন্য আসামিরা ভুক্তভোগী কিশোরী ও তার মা-বাবাকে প্রকাশ্যে লাঠিপেটা করে। এ সময় ধারণ করা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে নির্যাতনের ঘটনায় ২৬ আগস্ট রাতে দেবিদ্বার থানায় একই গ্রামের হাসান, তার ভাই কাউছার, বাবা নুরুল ইসলামসহ আটজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা।
পরদিন জেলার বিভিন্ন জায়গায় র্যা ব-পুলিশ অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে। তবে এ ঘটনার মূল আসামি কাউছার ও হাসানকে এখনও গ্রেপ্তার করা যায়নি। এর আগে ২৪ মে কুরছাপ গ্রামের কিশোরীকে তারই চাচাতো ভাই হাসানের ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলার তদন্ত করছিলেন এসআই ওমর ফারুক।
ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর মা জেসমিন আক্তারের অভিযোগ, ওই মামলার তদন্তের কাজে এমআই ওমর ফারুক তিনবার বাড়িতে এলে প্রতিবারই তিনি টাকা নেন। এরপর আরও ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন।
মন্তব্য করুন