বরগুনার আমতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম ছরোয়ার ফোরকানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। 

ঋণ খেলাপির দায়ে চেয়ারম্যান পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দিয়ে বুধবার উপজেলায় পুনর্নির্বাচনের আদেশ দিয়েছেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ এবং নির্বাচন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হাসানুল ইসলাম।

জানা গেছে, ২০১৩ সালে রুপালী ব্যাংকের  পটুয়াখালী শাখা থেকে নিজ নামে এক বছর মেয়াদী ১৬ লক্ষ টাকা ঋণ নেন আমতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার ফোরকান। যা সুদে-আসলে ২৪ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া তার মালিকানাধীন মেসার্স বনানী ট্রেডার্সের নামেও এক বছর মেয়াদী ঋণ তোলেন গোলাম ছরোয়ার ফোরকান। যা সুদে আসলে ২৭ লাখ টাকা হয়।

ওই ঋণ পরিশোধ না করায় ২০১৪ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ খেলাপির তালিকায় তার নাম ওঠে। ঋণ খেলাপির তথ্য গোপান করে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত আমতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। ওই নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে বিজয়ী হন। এতে সংক্ষুব্ধ হন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সামসুদ্দিন আহম্মেদ ছজু। ওই বছরের ২১ এপ্রিল  ঋণখেলাপির তথ্য সংযোজন করে বরগুনা যুগ্ম  জেলা জজ প্রথম আদালত ও নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।

মামলার বাদী ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সামসুদ্দিন আহম্মেদ ছজু রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আমি ন্যায় বিচার পাইনি।

আমতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম ছরোয়ার ফোরকান বলেন, আমি ন্যায় বিচার পাইনি। এ রায়ের বিরুদ্ধে আমি উচ্চ আদালতে আপিল করবো।

সামসুদ্দিন আহম্মেদ ছজুর আইনজীবী জগদীশ চন্দ্র শীল বলেন, আদালতের বিচারক  উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম ছরোয়ার ফোরকানকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে তফসিল ঘোষণ করে পুনর্নির্বাচনের আদেশ দিয়েছেন।

আমতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম ছরোয়ার ফোরকানের আইনজীবী মো. আনিছুর রহমান বলেন, আমরা ন্যায় বিচার পাইনি। এ আদেশের বিরুদ্ধে আমার মক্কেল উচ্চ আদালতে আপিল করবেন। 

বরগুনা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দিলীপ কুমার হাওলাদার বলেন, এখনো আদেশ পাইনি। আদেশ পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।