- সারাদেশ
- শেষ পর্যন্ত মৃত্যুই হলো শতাধিক পাখির ছানার
রামেক হাসপাতাল
শেষ পর্যন্ত মৃত্যুই হলো শতাধিক পাখির ছানার

গাছ পড়ার সঙ্গে সঙ্গে শামুকখোল পাখির শতাধিক ছানা মাটিতে পড়ে মারা যায়। ছবি: শরিফুল ইসলাম তোতা
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি অর্জুনগাছের বাসা বেঁধেছিল শামুকখোল পাখি। এতে শতাধিক বাচ্চা দিয়েছিল পাখিগুলো। ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য শনিবার গাছটির শেকড় কেটে ফেলে শ্রমিকরা। এতে গাছটি হেলে পড়লে নিচে পড়ে মারা যায় শামুকখোল পাখির বাচ্চাগুলো। আর বেঁচে যাওয়া বাচ্চাদের ধরে বাসায় নিয়ে যায় হাসপাতালের নির্মাণশ্রমিক ও রোগীর স্বজনরা।
এর আগে গত বছর পাখির বিষ্ঠায় পরিবেশ নষ্ট হওয়ার কথা বলে হাসপাতালের বেশ কয়েকটি গাছের ডাল কেটে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেসময় দৈনিক সমকালে এনিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে বাঁধার মুখে শেষ পর্যন্ত গাছের ডাল কাটা বন্ধ রাখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হাসপাতালের সামনে ড্রেন নির্মাণের জন্য শনিবার বিকেলে গাছটির শেকড় কাটা হয়। এতে গাছটি হেলে যায়। গাছ থেকে মাটিতে পড়ে মারা গেছে শামুকখোল পাখির শতাধিক বাচ্চা। একটু বড় বাচ্চাগুলো জীবিত ছিলো। সেগুলো নির্মাণ শ্রমিক ও রোগীর স্বজনরা বস্তায় ভরে নিয়ে যায়। অনেকে জবাই করেও নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হলে ক্ষোভ প্রকাশ করে মন্তব্য করেন পাখিপ্রেমিকরা। তারা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেন।
তবে হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, গাছটি কাটার কোনো প্ল্যান ছিল না। নির্মাণ শ্রমিকরা ড্রেনের ইটের গাথুনি করার সময় গাছটির শিকড় কেটে ফেলেন। এতে গাছটি হেলে পড়লে পাখির বাচ্চাগুলো পড়ে যায়। এতে অনেক বাচ্চা মরে যায়। অনেকেই আবার বাচ্চা ধরে জবাই করে বস্তায় ভরে নিয়ে যায়। এটি খুবই দুঃখজনক এবং মর্মান্তিক ঘটনা। আমরা মর্মাহত। এটা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোন ইচ্ছায় হয়নি। বিকেলের দিকে ঘটনাটি ঘটায় আমাদের নজরে আসেনি। তবে যেহেতু হাসপাতালের ঘটনা এর দায় আমরা এড়াতে পারিনা। আগামীতে পাখিগুলোর নিরাপত্তা বিষয়ে আরও সচেষ্ট থাকবো।
মন্তব্য করুন