- সারাদেশ
- আগৈলঝাড়ায় হরিণের মাংস ও চামড়া উদ্ধার
আগৈলঝাড়ায় হরিণের মাংস ও চামড়া উদ্ধার

হরিণের মাংস ও চামড়া বিক্রির অভিযোগে আটককৃতরা- সমকাল
আগৈলঝাড়ায় হরিণের মাংস ও চামড়া উদ্ধারের ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) পরিচালকসহ তিনজনকে জরিমানা ও বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত এনজিও পরিচালককে বুধবার সন্ধ্যায় বরিশাল জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাজিহার গ্রামের এনজিও আলোশিখা রাজিহার সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্রের হরিণের খামার থেকে গোপনে হরিণ জবাই করে মাংস বিক্রির সময় মঙ্গলবার রাতে জনতার হাতে ধরা পড়ে ওই খামারের কর্মচারী হায়দার মিয়া। তবে হায়দার জনতার হাত থেকে পালিয়ে যায়। রাতেই পুলিশের এসআই আলী হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই এনজিওর একটি কক্ষের ফ্রিজ থেকে ৩৫ কেজি ও বিক্রি করা দুই কেজিসহ ৩৭ কেজি হরিণের মাংস ও ছাদের একটি স্টোর রুম থেকে ছয়টি হরিণের চামড়া উদ্ধার করেন। এ সময় তিনি খামারের মালিক ও এনজিওর নির্বাহী পরিচালক মৃত স্যামুয়েল হালদারের ছেলে জেমস মৃদুল হালদার, তার কর্মচারী ডাসার থানার নবগ্রামের মৃত অজিত সরকারের ছেলে বিপ্লব সরকার, উপজেলার আহুতি বাটরা গ্রামের রামচন্দ্র হালদারের ছেলে সুনীল হালদার ও একই গ্রামের মৃত চৈতন্য সরকারের ছেলে খোকন সরকারকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসেন।
বুধবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও ইউএনও আবুল হাশেম ঘটনাস্থল রাজিহারের এনজিও আলোশিখায় যান। বন সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘন করায় এ সময় এনজিওর পরিচালক জেমস মৃদুল হালদারকে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন তিনি। এ ছাড়া এনজিও কর্মচারী সুনীল হালদার ও খোকন সরকারকে পাঁচ হাজার টাকা করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বিপ্লব সরকারকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপস্থিত ছিলেন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম, উপজেলা বন কর্মকর্তা মনীন্দ্র নাথ হালদার ও এসআই আলী হোসেন। পরে হরিণের মাংস পুড়িয়ে ফেলাসহ উদ্ধার করা চামড়া বন কর্মকর্তার জিম্মায় দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন