- সারাদেশ
- লাউয়াছড়ায় উল্লুকের জন্য সেতু
লাউয়াছড়ায় উল্লুকের জন্য সেতু

লাউয়াছড়া উল্লুক চলাচলের জন্য সেতু করেছে কর্তৃপক্ষ, ছবি: সমকাল
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতর দিয়ে চলে গেছে রেল ও সড়ক পথ। সেই পথে দিন দিন বাড়ছে ব্যস্ততা। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ বন্যপ্রাণীর স্বাভাবিক চলাচল। এ অবস্থায় প্রাণ প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ বনটির ভেতরে উল্লুকের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে দড়ি দিয়ে পাঁচটি বিশেষ সেতু করে দেওয়া হয়েছে। যাকে বলে ক্যানোপি ব্রিজ।
উদ্যানটিকে দ্বিখণ্ডিত করে চলে যাওয়া সড়ক ও রেলপথের দুই পাশের গাছের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে এ সেতু। সড়কের দুই পাশের উঁচু দুটি গাছের সঙ্গে দড়ি বেঁধে বানানো হয়েছে সেতুগুলো। সেতুগুলো দিয়ে উল্লুকসহ অন্য সব বন্যপ্রাণীও সড়ক ও রেলপথের দুই পাশের বিস্তৃত উদ্যানে চলাচল করতে পারবে।
বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষক দল যৌথভাবে সেতু স্থাপনের কাজটি করেছে। চারদিনের মধ্যে সেতুগুলো নির্মাণ করেন তারা।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, গতবছরের নভেম্বর থেকে গত আগস্ট পর্যন্ত শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ সড়কের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান এলাকায় পাঁচটি বন্যপ্রাণী মারা গেছে। এরমধ্যে আছে চিত্রা হরিণ, বানর, মেছো বিড়াল, মুখপোড়া হনুমান ও চিতা বিড়াল। তবে করোনার কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় এ সময়ে রেললাইনে বন্যপ্রাণী কাটা পড়ার ঘটনা নেই। সড়কপথেও যান চলাচল কম ছিল। এমনিতে বছরে এ দুটি পথে অর্ধশতাধিক বন্যপ্রাণী মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটে।
তিনি জানান, দেশের অন্যান্য জায়গা থেকে লাউয়াছড়া বনে উল্লুকের অবস্থান বেশ ভালো। সেতুগুলো লাউয়াছড়া বনের বানরজাতীয় প্রাণী, বিশেষ করে উল্লুকের জন্য খুবই উপকারী হবে বলে আমরা আশা করছি। কিছুদিনের মধ্যেই তারা অভ্যস্ত হয়ে যাবে এই সেতু চলাচলে। শতভাগ সফলতার পর দেশের অন্য বনেও এসব সেতু নির্মাণ করা যেতে পারে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন