- সারাদেশ
- কেশবপুরে খেলার মাঠে প্রাচীর, এলাকাবাসীর প্রতিবাদ
কেশবপুরে খেলার মাঠে প্রাচীর, এলাকাবাসীর প্রতিবাদ

খেলার মাঠের মধ্য দিয়ে প্রাচীর নির্মাণের প্রতিবাদে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছেন- সমকাল
কেশবপুর পৌরসভার ২ নম্বর ভোগতী নরেন্দ্রপুর ওয়ার্ডে খেলার মাঠের মধ্য দিয়ে প্রাচীর নির্মাণের প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বুধবার বিকেলে মানববন্ধন করেছেন।
ভোগতী নরেন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রায় ৬০ বছর ধরে স্কুলের শিক্ষার্থী ও এলাকার যুব সম্প্রদায় খেলাধুলাসহ মাঠটি বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে আসছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৫৮ সালে ভোগতী নরেন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই স্কুলের মাঠটি খেলাধুলা, ঈদের নামাজ, ধর্মীয় ও আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। মাঠটির দক্ষিণ পাশে গ্রামের একমাত্র ঈদগাহ অবস্থিত। গত সোমবার স্কুল কর্তৃপক্ষ হঠাৎ মাঠের মাঝ বরাবর দিয়ে প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করে। নির্মাণশ্রমিকরা প্রাচীরের পিলারের জন্য গর্ত খোঁড়ার সময় এলাকাবাসী স্কুল কর্তৃপক্ষকে নিষেধ করেন। কিন্তু তা উপেক্ষা করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে থাকায় এলাকার যুবসমাজ সেদিন বিকেলে ইউএনও বরাবর স্মারকলিপি দেন। তখন আলটিমেটাম দিয়ে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। তারই অংশ হিসেবে বুধবার বিকেলে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ভোগতী নরেন্দ্রপুর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি হাবিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মাল, যুবলীগ নেতা শিমুল হাসান, ছাত্রলীগ নেতা শাহরিয়ার হাবিব, ফুটবল খেলোয়াড় মাসুম বিল্লাহ, রুহুল আমিন, শামীম রেজা, আমির হামজা, সোহাগ হোসেন প্রমুখ।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূর নাহার পারভীন বলেন, সরকারি অনুদান আসায় স্থানীয় সার্ভেয়ার দিয়ে জমি মেপে সীমানা প্রাচীর আমিই দিতে বলেছি। এ সময় স্কুল কমিটি ও জমিদাতারা উপস্থিত ছিলেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মশিয়ার রহমান বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিজস্ব ৭৫ শতক জমি। স্কুলের জমির ওপর ঈদগাহ অবস্থিত। স্কুল কমিটি সার্ভেয়ার দিয়ে জমি মেপে সীমানা প্রাচীর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার বলেন, মাঠের মাঝখান দিয়ে সীমানা প্রাচীরের বিষয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ করেনি। ইউএনও অফিসে এলাকাবাসী আসার পর বিষয়টি জেনেছি। বিদ্যালয়ের জায়গাটি কাগজেকলমে আছে ৪৩ শতক। ৪৮ শতকের খাজনা দেওয়া হয়। মাঠে এর থেকেও আরও বেশি জমি রয়েছে। তবে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই মাঠটি বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হয়ে আসছে বলে শুনেছি। এতে কেউ কখনও বাধা দেয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েই সীমানা প্রাচীরের কাজ বন্ধ করতে বলা হয়েছে। এলাকাবাসীর সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন