হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রস্থল হিসেবে পরিচিত হাটহাজারীর দারুল উলুম মইনুল ইসলাম মাদ্রাসার অত্যন্ত সম্মানিত মুহতামিম (মহাপরিচালক) পদে মনোনীত হওয়ার পরপরই মারা গেছেন মুফতি আবদুস ছালাম চাটগাঁমী (ইন্নালিল্লাহি ... রাজিউন)। বুধবার হেফাজত আমির মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর সভাপতিত্বে মাদ্রাসার মজলিসে শূরায় সভায় তাকে মহাপরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। বৈঠক চলাকালেই আবদুস সালামের মৃত্যুর খবর আসে। পরে মাওলানা মুহম্মদ ইয়াহিয়াকে ভারপ্রাপ্ত মুহতামিম মনোনীত করা হয়।

অসুস্থতার কারণে মজলিসে শূরার সভায় উপস্থিত ছিলেন না ৮২ বছর বয়সী আবদুস সালাম। তিনি হাটহাজারী মাদ্রাসার প্রধান মুফতি পদে ছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সভা শুরু হয়। দুপুর ১২টার দিকে খবর আসে, অচেতন অবস্থায় আবদুস সালামকে হাটহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেপে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেছেন।

আবদুস সালামের মৃত্যুর খবরে মজলিসে শূরার সভা স্থগিত করা হয়। পরবর্তী শূরা বৈঠক না হওয়া পর্যন্ত মাওলানা ইয়াহিয়া মুহতামিম পদে দায়িত্ব পালন করবেন বলে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সহযোগী পরিচালক মুফতি জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন। তিনি জানান, বুধবার রাত ১১টায় মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে দাফন করা হয় আবদুস সালামকে।

সভায় প্রধান শায়খুল হাদিস-১ পদে শেখ আহমদ, শায়খুল হাদিস-২ পদে মাওলানা শোয়াইব জমিরী, শিক্ষা পরিচালক পদে মাওলানা কবির আহমদ, সহকারী শিক্ষা পরিচালক পদে মাওলানা ওমর মেখলীকে নিয়োগ করা হয়।

গত বছর সেপ্টেম্বরে মৃত্যুর এক দিন আগে হেফাজতের প্রতিষ্ঠাতা শাহ আহমদ শফী হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক পদ ছাড়েন। তার মৃত্যুর পর এ পদে এককভাবে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। তিন জ্যেষ্ঠ শিক্ষক যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। শিক্ষা পরিচালক ও প্রধান শায়খুল হাদিস হিসেবে হেফাজতের আমির জুনায়েদ বাবুনগরীই ছিলেন মাদ্রাসার পরিচালনার দায়িত্বে। গত ১৯ আগস্ট তিনি মারা যান।