নোয়াখালী সদর উপজেলায় মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে স্থানীয় যুবলীগ নেতা শিপন ও জহির বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের হাকিমপুর ব্রিকস ফিল্ড সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় মো.রুবেল (২৭) নামের একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তিনি উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের মো.হানিফের ছেলে। পুলিশের দাবি, গুলিবিদ্ধ রুবেল একজন মাদক কারবারি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে নোয়াখালী সদর উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শিপন বাহিনী আর কসাই জহির বাহিনীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এর জের ধরে বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের হাকিমপুর ব্রিকফিল্ডের সংলগ্ন এলাকায় উভয় দলের সদস্যরা গোলাগুলিতে লিপ্ত হয়। এতে রুবেল নামে একজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। উন্নত চিকিৎসার জন্য সকালে রুবেলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সৈয়দ মহিউদ্দিন ফজলুল আজিম জানান, বুধবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে রুবেল নামের গুলিবিদ্ধ এক যুবককে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। তার চোখে মুখে ও পেটে ছড়রা গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সুধারম থানার ওসি মো.সাহেদ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, যুবলীগ নেতা শিপন ও কসাই জহিরের মধ্যে দাদপুর ইউনিয়ন এলাকায় মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে এবং পূর্ব বিরোধের জেরে বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

ওসি সাহেদ উদ্দিন বলেন, গুলিবিদ্ধ রুবেলের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ আইনগত পদক্ষেপ নেবে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।