ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া-বটতলা-কৈখালী-ভান্ডারিয়া সড়কে বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। 

এতে ভোগান্তিতে পড়েছে উপজেলার তিনটি ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার কয়েক গ্রামের হাজার মানুষ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আমুয়া বটতলা কৈখালী ভান্ডারিয়া সড়কের কৈখালী বাজার থেকে সিকদারহাট কাঠালিয়া সীমানা পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার অংশে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। 

কৈখালী বাজার থেকে একটু সামনে যেতেই সড়কে বড় বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও সড়কের দুই পাশ ভেঙে গেছে। কোথাও কোথাও সড়ক মাটির সাথে মিশে গেছে। ইজিবাইক,ভ্যানচলছে হেলেদুলে। ইজিবাইকে চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। সড়কের সেতুগুলো অধিকাংশ ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতে সময় নষ্ট হচ্ছে। 

কৈখালী বাজারের উত্তর পার্শ্বে জমাদ্দার বাড়ী এবং উত্তর চেঁচরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করতে শিক্ষার্থীদের অনেক বেগ পেতে হচ্ছে। 

সড়কে বালীর খাল ও আব্দুস সালাম ডিলারের বাড়ির সামনে খালের ওপর দুইটি বেইলী সেতুসহ ৪টি কালভার্ট ঝুঁকিপূর্ণ। 

স্থানীয় উত্তর মহিষকান্দি গ্রামের বাসিন্ধা ও কৈখালী বাজারের ব্যবসায়ী আবদুল কাদের হাওলাদার সমকালকে বলেন, ‘আমাদের এখান থেকে ভান্ডারিয়া,ঝালকাঠি ও বরিশাল যেতে এই রাস্তা ছাড়া অন্য কোনো রাস্তা নেই। রাস্তাটি অনেক বছর ধরে নষ্ট হয়ে আছে। কোনো রোগীকে তাৎক্ষণিকভাবে নিতে ভীষণ কষ্ট হয়। ইজিবাইক মটর সাইকেলে চলাচল করতে খুবই কষ্ট হয়। মালামাল আনা-নেওয়া করতে অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাছাড়া দুইটি বেইলি সেতু অবস্থা খারাপ।’ 

উত্তর চেঁচরী গ্রামের ইজিবাইক চালক আবদুল মোতালেব জানান,যাত্রী নিয়ে কৈখালী থেকে ভান্ডারিয়া আসা-যাওয়া করেন তিনি। রাস্তার সরু হওয়ায় মাঝেমধ্যে ইজিবাইক থামিয়ে দিতে হয়।  

এলজিইডি উপজেলা প্রকৌশলী সাদ মো. জগলুল ফারুক জানান, সড়কটি প্রশস্ত করতে ও সংস্কারের জন্য টেন্ডার হয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।


বিষয় : কাঁঠালিয়া উপজেলা আমুয়া-বটতলা-কৈখালী-ভান্ডারিয়া সড়ত চলাচলের অনুপযোগী সড়ক

মন্তব্য করুন