- সারাদেশ
- লক্ষ্মীপুরে যুবলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০
লক্ষ্মীপুরে যুবলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০

লক্ষ্মীপুরে যুবলীগের বর্ধিত সভায় যোগদানকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
এসময় যুবলীগের সভাপতি পদপ্রত্যাশী ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ নুরুল আজিম বাবর আহত হয়েছে। তাকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
অন্য আহতরা হলেন, মাসুম (২৫), আবদুল মতিন (৫৮),লিটন, আবুল কাশেম (৩৫), বাবর (৫০,) তারেক (১৯), সৌরভ (১৭), জামাল উদ্দিন (৬০), খোরশেদ আলম (৬০), মো. জামাল উদ্দিন (৪০০,মামুন (২৫), সবুজ (২৯), হাসেম (৫৭) ও জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলার চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন টিপু।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ওসি জসিম উদ্দিন সমকালকে জানান, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পৌর এলাকার মেঘনা রোডের জাইল্লা টোলা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। রাস্তায় ব্যারিকেড থাকায় দুপক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতরা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যুবলীগের বর্ধিত সভাতে যোগ দিতে আসা কেন্দ্রীয় নেতাদের বরণ করে নিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে বিভিন্ন পদপ্রত্যাশী নেতারা তাদের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে লক্ষ্মীপুর-রামগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেন।
লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি পদপ্রত্যাশী নুরুল আজিম বাবর তার সমর্থকদের নিয়ে মেঘনা রোডের জাইল্লা টোলা এলাকায় অবস্থান নেন। বাবর সমর্থকদের অভিযোগ, জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু এবং সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমানের নেতৃত্বে কয়েকশ লোক মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসে এসে তাদের মারধর শুরু করে।
জেলা যুবলীগের সভাপতি এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু বলেন, ‘বাবরের সঙ্গে আমার বাদানুবাধ হয়েছে। কাউকে মারধর করা হয়নি।’
জেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে শহরের সোনার বাংলা চাইনিজ রেস্টুরেন্টে প্রায় চার বছর পর প্রথম জেলা যুবলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর টিপুকে সভাপতি ও আবদুল্লাহ আল নােমানকে সাধারণ সম্পাদক করে তিন বছরের জন্য জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর নানা বির্তকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
মন্তব্য করুন