সুন্দরগঞ্জে শুভ হত্যা মামলায় ১০ আসামির সবাই বেকসুর খালাস

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে শিশু শুভ হত্যা মামলায় দশ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার গাইবান্ধার নারী ও শিশু ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ কে.এম শহিদ আহমেদ এ রায় ঘোষণা করেন।

খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- শুভর আপন চাচা আব্দুর রাজ্জাক সরকার, রিপন কুমার সাহা, কবির হোসেন, হারুন মিয়া, মোস্তাফিজার রহমান, মাজেদুল ইসলাম রবিন, সুমন মিয়া, লাবলু মিয়া, মৃণাল চন্দ্র ও মিলটন খন্দকার।

দীর্ঘ সাত বছর পরে চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায়ের আদেশ নিয়ে নানা মহলে চলছে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া। স্থানীয় স্কুল শিক্ষক ফরমান আলীসহ অনেকেই এ রায় নিয়ে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। শুভর বাবা আশেক আলী জানান, তিনি ন্যায় বিচার পাননি। সে কারণে তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর পৌর সভার ১নং ওয়ার্ডের বালাপাড়া মহল্লার স্কুল শিক্ষক আশেক আলীর ছেলে শিশু শুভ মিয়াকে নিজ বাড়ির উঠান থেকে সুকৌশলে অপহরণ করে নিয়ে যায় তার আপন চাচা আব্দুর রাজ্জাক সরকারের নেতৃত্বে কবির মিয়া। পরে কবির মোবাইল ফোনে শিশুর বাবার কাছে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে শিশুটিকে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়। পরে শুভর বাবা আশেক আলী বিষয়টি থানায় জানালে পুলিশ ৯ আসামিকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে অপহরণকারী কবিরের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী একই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর বিকালে বালাপাড়া ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন ডোবা থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ও তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক জিন্নাত আলী ১০ জন আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। দীর্ঘ সাত বছর পরে দশ আসামিকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।

আসামি পক্ষের আইনজীবী এবং গাইবান্ধা বারের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবু জানান, রায়টি অত্যন্ত যুগোপযোগী। অনেকে অপরাধ না করে সাজা ভোগ করছে। এ রায়ে তা হয়নি।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গুলশান নাহার মুনমুন জানান, রায়ে বাদীপক্ষ ন্যায় বিচার পায়নি। সে কারণে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।