- সারাদেশ
- তদন্ত দলের সামনে হাজির হননি শিক্ষক ফারহানা
শিক্ষার্থীদের চুল কর্তন
তদন্ত দলের সামনে হাজির হননি শিক্ষক ফারহানা

শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কাটার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন তদন্ত দলের মুখোমুখি না হওয়ায় শেষ মুহূর্তে ঝুলে গেছে প্রক্রিয়া। সোমবারের মধ্যে তদন্ত প্রক্রিয়া শেষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশনা থাকলেও শেষপর্যন্ত তা সম্ভব হচ্ছে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন শাখার সেই আলোচিত শিক্ষক প্রভাষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত হননি। অভিযোগের বিপরীতে তার যুক্তি, মতামত বা বক্তব্য উপস্থাপনে সশরীরে হাজির হতে নির্দেশনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা মানেননি তিনি।
ঘটনার পর গণমাধ্যমে তাকে নিয়ে একাধিক সংবাদ পরিবেশনে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বা বিব্রত তিনি- এমন উদ্ধৃতি টেনে রোববার রাতে তিনি সহকর্মীদের মোবাইলে তদন্ত কমিটির কাছে দুই সপ্তাহের সময় চেয়েছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু হাজির না হবার বিপরীতে অসুস্থতার কথা বলা হলেও সপক্ষে চিকিৎসা সনদ বা প্রমাণাদি দাখিল করেননি তিনি।
শিক্ষক ফারহানা হঠাৎ করে উপস্থিত না হওয়ায় তদন্ত প্রতিবেদন শেষমুহূর্তে ঝুলে গেছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত দলের সদস্যরা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গঠিত তদন্ত দলের প্রধান রবীন্দ্র অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রভাষক লায়লা ফেরদৌস হিমেল সমকালকে বলেন, নির্ধারিত সময়ে তদন্ত শেষ করার জন্য আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের যেমন চাপ রয়েছে, ঘটনাটি দেশব্যাপী আলোচিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকেও নজর রয়েছে। অর্থাৎ তদন্ত কমিটি ত্রি-মাত্রিক চাপে।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সন্মেলন কক্ষে রোববার রাত ১১টা পর্যন্ত এক টানা সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। ৪৫ জন শিক্ষার্থী, ৫ জন শিক্ষক, ২ জন কর্মচারী, একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং জুম অ্যাপের মাধ্যমে বাড়িতে ও ছুটিতে থাকা আরও দুই শিক্ষার্থীসহ মোট ৫৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। কিন্তু যাকে নিয়ে এত আলোচনা বা এ তদন্ত কার্যক্রমের আয়োজন, সেই সহকর্মী ফারহানা ইয়াসমিনের আত্মপক্ষ সমর্থনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তার বক্তব্য উপস্থাপনে বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে হাজির হতে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা থাকলেও শেষপর্যন্ত তিনি আসেননি।
মন্তব্য করুন