বগুড়ার ধুনটে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ছোট ভাইকে ফাঁসাতে স্ত্রীকে হত্যা করে ফেঁসে গেলেন বাহাজ উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি। পুলিশের হাতে আটক বাহাজ উদ্দিন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্ত্রী হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। 

এলাকাবাসী জানায়, ধুনট সদর ইউনিয়নের চালাপাড়া পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত মোতরাজ আলীর ছেলে বাহাজ উদ্দিন ও বেলাল হোসেনের মধ্যে ১৬ শতক জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ ঘটনায় একে অপরের বিরুদ্ধে থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগও দিয়েছেন তারা। শুক্রবার রাত ৩টার দিকে স্ত্রী স্বপ্না খাতুনকে ঘুম থেকে তুলে বাহাজ উদ্দিন বাড়ির অদূরে তার চা স্টলে নিয়ে যান। এরপর ধারালো ছুরি দিয়ে স্বপ্নাকে হত্যা করেন। এরপর ছোট ভাই বেলাল স্বপ্নাকে হত্যা করেছে বলে বাহাজ উদ্দিন চিৎকার দেন। প্রতিবেশী ও স্বজনেরা ঘটনাস্থলে এসে স্বপ্নাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ধুনট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্বপ্না খাতুনের মেয়ে হোসনে আরা বলেন, রাতে তার বাবা বাহাজ উদ্দিন মাকে ডেকে চায়ের দোকানে নিয়ে যান। এরপর চিৎকার করে বলতে থাকেন বেলাল আমার স্ত্রীকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে। চিৎকার শুনে মাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেছি।

স্বপ্না খাতুনের ভাই হারুনুর রশিদ বলেন, বাহাজ উদ্দিনের সঙ্গে তার ছোট ভাই বেলালের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। ভাইকে ফাঁসানোর জন্য সে আমার বোনকে হত্যা করেছে।

ধুনট থানার ওসি (তদন্ত) জাহিদুল ইসলাম বলেন, স্বপ্নার লাশ বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া স্বপ্নার স্বামী বাহাজ উদ্দিনকে আটক করা হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মতিউর রহমান জানান, বাহাজ উদ্দিনকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে ছোট ভাইকে ফাঁসাতে ছুরিকাঘাতে স্ত্রী স্বপ্নাকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন। আদালত বাহাজ উদ্দিনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।